রেজাউল হক, রামগতি(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :: মা ইলিশ রক্ষা ও ডিম ছাড়ার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৫ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১১দিন মেঘনা নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। সরকারি এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে বুধবার (১৬ অক্টোবর)।
এরপর আবারও মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার ধুম পড়ে। তবে এখনও প্রচুর ডিমওয়ালা ইলিশ আটকা পড়ছে জেলেদের জালে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে গত পাঁচ দিনে ধরা পড়েছে প্রায় চার হাজার মন ডিমওয়ালা মা ইলিশ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার কারণে এবার ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। এদিকে অভিযোগ রয়েছে নিষেধাজ্ঞার সময় একশ্রেণীর প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ীর সেল্টারে কিছু জেলে মা ইলিশ নিধন করে তা আড়ৎদাররা বরফ দিয়ে মজুদ করেছে।
সেই ইলিশ এখন বাজারে ছেয়ে গেছে। ৩৫ বছর ধরে মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরছেন জেলে আবুল কালাম, মোঃ হারুন ও সাহাব উদ্দিন। তারা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে তাদের জালে প্রচুর ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়ছে ।
অনেক ইলিশ এখনও ডিম ছড়েনি। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে বাকি ইলিশ গুলো ডিম ছাড়তে পারে। ডিম ছাড়ার আগে ইলিশ মাছগুলো দুর্বল থাকে। এ সময় নদীতে জাল ফেললেই ধরা পড়ে ইলিশ। অন্য সময় এভাবে মাছ ধরা পড়ে না।
তারা আরো বলেন, মা ইলিশের ডিম ছাড়ার জন্য অভিযান চালানো হলেও অধিকাংশ মা ইলিশই এখনো ডিম ছাড়তে পারেনি। সেবা গ্রামের নাছের মাঝি বলেন, ঘরে অভাব ছিল তারপরও অভিযানের সময় নদীতে মাছ ধরিনি।
এখন ডিমওয়ালা মাছ পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে। জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি রেজাউল হক মাঝী বলেন, অভিযান চলাকালীন সময়ে প্রায় ৫০ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ মা ইলিশ এখনো ডিম ছাড়েনি।
রামগতিতে প্রায় ২৫ হাজার জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত পাঁচদিন ধরে এসব জেলেরা মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গেলে তাদের জালে প্রচুর ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়ছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ৫০ শতাংশ মা ইলিশ এখনো ডিম না ছাড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ১৫ থেকে ২০দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখলে সবগুলো মা ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পাবে। আগামী বছর কর্তৃপক্ষ অভিযানকালীন সময় বাড়াতে পারেন।