মৃত্যুর ৯ বছর পর কাজীর লাইসেন্স বাতিল !আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :: মৃত্যুর ৯ বছর পর বাল্যবিয়ে রেজিষ্ট্রারী করার দায়ে লালমনিরহাটে এক নিকাহ রেজিষ্ট্রারের (কাজী) লাইন্সেস বাতিলের আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র সহকারী সচিব। এ ঘটনায় লালমনরিহাট জেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচরা ঝড় বইছে।

সুত্র মতে, ২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার (কাজী) সুলতান আহম্মেদের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে রেজিষ্ট্রার করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়। ২০০৮ সালের ২৫ জানুয়ারি অভিযুক্ত কাজী সুলতান আহম্মেদ মারা যান। তার মৃত্যুর পর ওই বছরের ৪ মার্চ তৎকালীন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম কাজী হিসাবে মাহমুদুল হাসানকে নিয়োগ দেন।

তখন থেকেই মাহমুদুল কাজীর দায়িত্ব পালন করছে। অথচ এ ঘটনার ৯ বছর পর ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর হঠাৎ করে এক পত্রে কাজী সুলতান আহম্মেদ নামীয় নিকাহ রেজিষ্ট্রার লাইন্সেস বাতিলের আদেশ দেন আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জি.এম. নাজমুছ শাহাদাৎ। গত ২০ ফেব্রুয়ারী লালমনিরহাট জেলা রেজিস্ট্রার সরকার লুৎফর কবীর স্বাক্ষরিত অপর এক আদেশে দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাজীর পদটি শুন্য ঘোষনা করে ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের কাজী এজাজুল ইসলামকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়।

দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাজী মাহমুদুল হাসান জানান, যে ব্যক্তি ২০০৮ সালে মারা যান, সেই ব্যক্তির লাইন্সেস ৯ বছর পর ২০১৬ সালে কিভাবে বাতিল করা যেতে পারে ? তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবী জানান।

লালমনিরহাট জেলা রেজিস্ট্রার সরকার লুৎফর কবীর জানান, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নির্দেশেই কাজী সুলতান আহম্মেদের লাইন্সেস বাতিল হয়েছে। ৯ বছর পর কিভাবে ও সচিবের পত্রটি যাচাই করা হয়েছে কি না এ প্রশ্নের কোনো উওর দেয়নি জেলা রেজিস্ট্রার ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here