আব্দুল কাদের জিলানী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:: গুড গভার্নন্যান্স এন্ড হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কতৃক প্রদত্ত শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য “মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদক ২০১৭” পেলেন ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব হাফেজ মো. রশিদ আলম।
গত ১৪ অক্টোবর শনিবার সন্ধা ৭টায় ঢাকাস্থ প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও’র সুরমা হল রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গুড গভার্নন্যান্স এন্ড হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি নামক একটি সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে হাফেজ মো. রশিদ আলমের হাতে এ সম্মাননা পদক ও সনদ তুলে দেয়া হয়।
সাদা মনের মানুষ জনাব মো. রশিদ আলম শিক্ষকতার পাশাপাশি শিক্ষা, সাহিত্য, স্বাস্থ্য ও সমাজ সেবা মূলক কাজে জড়িত।
তিনি ঠাকুরগাঁও মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, হোমিও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, আলঝেইমার সোসাইটি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, কওমী মাদরাসা, কেন্দ্রিয় মসজিদ, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ইমাম সমিতি, জাতীয় মুফাসসির পরিষদ, স্টুডেন্টস ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন সহ বহু প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। তিনি ছাত্রাবস্থা থেকে লেখালেখি করেন। এ যাবত তাঁর বহু লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।
আশৈশব মেধাবি এ শিক্ষক বাংলাদেশ বেতার ও ইলেক্ট্রো মিডিয়ায় একজন আলোচক। তিনি ইতিপূর্বে ঈশা খাঁ পদক, মাদার বখ্স পদক, সাহিত্য একাডেমি জাতীয় পদক ও সরকারি ভাবে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের সম্মান অর্জন করেন। এবারে তিনি মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদকে ভূষিত হলেন।
বিচারপতি সৈয়দ আবু কাওসার মোহাম্মদ দবিরুস্বানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাফেজ মো. রশিদ আলমের হাতে ‘মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদক ২০১৭ ও সনদপত্র তুলে দেন’
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজউদ্দীন। তিনি অনুষ্ঠানে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা পেশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি সৈয়দ আব্দুস সালাম মামুন, বিশিষ্ট আইনজীবী ও মানবাধিকার ব্যুরোর মহাসচিব ড. মোহাম্মদ শাহজাহান, এ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান, কবি রেজাউদ্দিন, প্রফেসর ড. শহীদুল্লাহ।
এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আলোকিত বাংলার মুখ ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহ আলম চুন্নু এবং এবং মুলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোবিন্দলাল সরকার।