হবিগঞ্জ :: নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং ইউনিয়নের অন্তর্গত অবহেলিত একটি গ্রাম বরকতপুর। পৌরসভার নিকটবর্তী গ্রাম হওয়া সত্বেও এই গ্রাম শিক্ষা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে অনেক পিছিয়ে পড়া। গ্রামের বেশীর ভাগ মানুষই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বার অতিক্রম করতে পারেনি।
শিক্ষার হার নিতান্তই গ্রামটির পুরুষরা শ্রমজীবি। নবীগঞ্জের আশপাশে শ্রমিকরা কাজ করে থাকে। মহিলারা বেকার, তাদের নেই কোন কর্মসংস্থান। থাকবেইবা কিভাবে, নেইতো তাদের তেমন কোন শিক্ষা। আবার নেই কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও।
জীবনযাত্রার মান খুবই নিম্নমানের, এর অন্যতম কারন আশপাশে শহর গড়ে ওঠলেও বরকতপুরের মানুষ তার চাকচিক্যই দেখতে পাই তাদের জীবনে প্রভাব পড়ে না। ৪০০ গজ দুরে শহরতলীর মানুষ নাগরিক সকল সুযোগ সুবিধা পেলেও বরকতপুরে মানুষের ভাগ্য কোন সভাগ্যের রেখাপাত ঘটেনা।
বিদ্যুৎতের ঝলমলানি আলো দেখতে পেলেও বরকতপুরের মানুষের দীর্ঘকাঙ্খিত বিদ্যুতের সংযোগ স্থাপন হয়নি। তাইতো গ্রামবাসীরা তাদের বক্তবে তুলে ধরলেন তাদের কষ্ট ও অনুভুতির কথা “নানান পদের নানান নেতা ভোটের সময় আইসন আর গেসইন নিজের কপাল খুললেও আমরার কপাল খুলছেনা”
বরকতপুর গ্রামে মুরব্বিদের দাওয়াতে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি গেলে শ্রমজীবি মানুষেরা এভাবেই বর্ননা দিতে থাকে। তারা বিদ্যুৎ চায়। পাশাপাশি তারা নিজেকে কর্মদক্ষ করে তুলতে আগ্রহী। আর চাই নেতৃবৃন্দের ন্যয়নিষ্ট সত্যবক্তব্য। এ গ্রামের শতশত নারী উক্ত সভায় যোগ দেয়।
এই প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরীকে কাছে পেয়ে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরেন গ্রামের নারীরা। কেয়া চৌধুরী মনোযোগ দিয়ে সময় নিয়ে গ্রামবাসীর কথা শুনেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, আমি মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আপনাদের মন ভুলাতে চাইনা। কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে চাই। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমি আমার কাজ দিয়ে আমার সরকারের জনগনের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি তা বাস্তবায়ন করতে চাই। বরকতপুর বিদ্যুতায়নের জন্য আমি আমার দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কাজ শুরু করবো ইনশাল্লহ।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমদাদুল হক মুকুল। বক্তব্য রাখেন,৮নং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল হাকিম, ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক,মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ডা: নিজামুল হক রুমেল, কয়েস মিয়া প্রমুখ ।- প্রেস বিজ্ঞপ্তি