আফজাল হোসেন,

ফুলবাড়ী: দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার হিসাবরক্ষক কর্তৃক আয়কর ভ্যাটের কোটি টাকা আত্বসাত। বিরামপুর পৌরসভার আয়কর ও ভ্যাটের কোটি কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের যোগসাজোশে একটি চক্র কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে স্থানীয় সরকার, জেলা প্রশাসক, দুদক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

vatলিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় ১০ বছর থেকে হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা মোসত্মাফিজুর রহমান পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ ও হাটবাজার ইজারার আয়কর ও ভ্যাটের কোটি কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে ট্রেজারী চালনে সোনালী ব্যাংক বিরামপুর শাখার এবং উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সীল জাল করে মোঃ মোস্তাফিজুরের নেতৃত্বে প্রতারক চক্রটি নিজে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় বিরামপুর পৌর কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তদন্ত কর্মকর্তা জানান, প্রতারক চক্রটি  কোন কোন ক্ষেত্রে আয়কর ও ভ্যাটের পুরো টাকাই মেরে দিয়েছে। আবার কখনও কখনও আড়াই লক্ষ টাকা আয়কর ভ্যাট হলে ব্যাংকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দিয়ে পৌর সভায় রক্ষিত চালানে পঞ্চাশ হাজারের আগে দুই লাখ লিখে রেখে দিয়েছে। ইতে মধ্যে হিসার শাখার এক কর্মচারী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করে কিছু টাকা জমা দিতে শুরু করেছে।

গত ৯ আগষ্ট পৌর কতৃপক্ষ পৌর কতৃপক্ষ স্মারক নং বিপৌস/নিঃপ্রকৌ/দিনাজ/২০১৬/৭৭১ মূলে চারটি চালান সন্দেহ হলে  সোনালী ব্যাংক শাখায় যাচাইয়ের জন্য পাঠায়। সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গত ১০ আগষ্ট স্মারক নং দিন/বিরাম/গভঃচালান/৬৬৬ মূলে পৌর কর্তৃপক্ষকে জানায় যে, চারটি চালানের মধ্যে দুটি চালান জাল। এছাড়াও উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা মো. মফিদুল ইসলাম জানান যে, তাঁর নিকট গত কয়েক বছরের চালান যাচাই করতে আসলে কয়েকটি মোটা অংকের চালান জাল ধরা পড়লে পৌর কর্তৃপক্ষ চলে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্ত কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে মনে হচ্ছে যে গত ১০ বছরে মোস্তাফিজুরের নেতৃত্বে প্রতারক চক্রটি কয়েক কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর ও জাল প্রমানিত হলেও এখন পর্যন্ত প্রতারক চক্রটিকে সাসপেন্ড বা পৌরসভা, ব্যাংক ও হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতারক চক্রটিকে বাঁচানোর অপচেষ্টা চলছে বলে এলাকায় ব্যপক গুঞ্জন  শুরু হয়েছে।

পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব লিয়াকত আলী সরকার জানান, রাষ্ট্রের কোষাগারের টাকা আত্মসাতকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। টাকা জমা দিয়ে কেউ অপরাধ ধামাচাপা দিতে পারবেনা।

এ ঘটনায় এলাকার সচেতন মহল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সকল  দপ্তরকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইননুগ ব্যবস্থা নিতে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here