ভোলার চরফ্যাশনের চর শাহাজালালে মঙ্গলবার বিকালে পুলিশের সাথে জলদস্যুদের পাল্টাপাল্টি বন্দুক যুদ্ধ হয় । এসময় পুলিশ জলদস্যুদের আসত্মানা থেকে ২রাউন্ড গুলি, ১টি কুড়াল, একটি লেদ মেশিন, ২টি দেশীয় রাইফেল ৭টি রাম দা,  ১০০পিস হেক্সু ব্লেড, হাতুর, ২টি রাইফেলের বাডিসহ বিপুল পরিমান সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

চরফ্যাশন থানার ওসি মো: রিয়াজ হোসেন ও উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশিদ ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কমকে জানান, জলদস্যু দমনে উদ্দ্যেশে মঙ্গলবার দুপুরে মনপুরা ও চরফ্যাশনের যৌথ পুলিশের একটি টিম অভিযানে চালায়।

এ সময় চরফ্যাশন দুর্গম চর শাহাজালে বিকাল ৪ টার দিকে পুলিশকে দেখে জলদস্যুরা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের সাথে জলদস্যুদের প্রায় ৫০ মিনিট পাল্টাপাল্টি বন্দুক যুদ্ধ হয় । এক পর্যায়ে পুলিশের তোপের মুখে জলদস্যুরা গভীর জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়।

ওসি আরো জানান, জলদস্যুদের আসত্মানা থেকে যে পরিমান অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে তাতে আমরা নিশ্চিত একটি জলদস্যুদের ঘাটি ছিল। জলদস্যুদের এ আসত্মানাটি মেঘনার ত্রাস দুর্ধর্ষ জলদস্যু বাবুল বাহিনীর বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

এদিকে, জলদস্যুদের আসত্মানা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের খবর উপকুলে পৌছলে জেলেদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। কিছু কিছু এলাকায় তারা মিষ্টি বিতরন করেন। এদিকে, জলদস্যুদের আস্তানার সন্ধ্যান পেলেও জলদস্যুর নাগাল না পাওয়ার বিষয়টিও জেলেদের আশংকার কারন হয়ে দাড়িয়েছে।

ভোলা, বরগুনা, হাতিয়া ও রামগতির দক্ষিন উপকূলের মূর্তিমান আতংক একাধিক মামলার আসামী জলদসীমার ত্রাস দুর্ধষ জলদস্যু নিজাম ও কালাম বাহিনী এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

এ দু’বাহিনী এখন ভোলাসহ দক্ষিন উপকূলের জলসীমা নিয়ে লড়াই করে বেড়াচ্ছে। লুট করে নিয়ে যাচ্ছে ট্রলার, জাল ও মাছ। অপহরন করা হচ্ছে জেলেদেরকে।

চরফ্যাশন ও মনপুরার জেলেরা জানান, উপকূলের জলসীমায় শুধু নিজাম-কালাম ডাকাতের দাপট নয়। ভোলার বাবুল ও জাকির বাহিনীও সক্রিয় রয়েছে।

পুলিশের তোপের মুখের এক পর্যায়ে জলদস্যুরা পালিয়ে যায়। সন্ধ্যা হলে পুলিশ  সেখান থেকে ফিরে আসে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/এন এম জিকু  /ভোলা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here