সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোববার ভোলাসহ দেশের কয়েকটি জেলার কয়েক হাজার মুসলিম ঈদুল আযহা পালন করছেন এবং পশু কোরবানী দিচ্ছেন।

ভোলার ছয়টি স্থানে সকালে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে তারা  রোজা ও ঈদ-উল ফিতরও উদযাপন করে থাকে।

শরিয়তপুরের নরীয়া শুরেশ্বর দরবার শরীফ ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা প্রতি বছর সৌদির সাথে একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন করে থাকে।

শুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারী ভোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত খলিফা বোরহানউদ্দিনের টবগী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মজনু জানান, ভোলার সবক’টি উপজেলায় তাদের অনুসারী আছে এবং তাদের সংখ্যা ১০ হাজারের কম নয়।

তিনি জানান, ভোলায় তাদের ৫টি ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। জামায়াতগুলো হচ্ছে- বোরহানউদ্দিনের টবগী ইউনিয়নের মনিরাম ও খাসের হাট, কাচিয়া ইউনিয়নের মুলাইপত্তন, লালমোহনের পৌর এলাকার মফিজ পাটোওয়ারী বাড়ির জামে মসজিদ এবং চরফ্যাশনের জিন্নাগর ইউনিয়নের জালাল মহাজন বাড়ির জামে মসজিদ।

অন্যদিকে, সাতকানিয়ার অনুসারীদের সমন্বয়কারী চরফ্যাশনের জিন্নাগর ইউনিয়নের আবদুর রহিম মাস্টার জানান, ভোলায় তাদের অনুসারীর সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। তাদের একমাত্র ঈদের জামায়াত হচ্ছে ইউনিয়নের চৌকিদারবাড়ী জামে মসজিদে।

জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী অনুসারীরা মসজিদে ঈদের জামায়াত আদায় করবেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম, বরিশাল, পিরোজপুর, নোয়াখালী, পাবনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরসহ অনেক স্থানে আজ পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা।

দক্ষিণ চট্টগ্রামে পাঁচ উপজেলার ৩০টি গ্রামে, বরিশাল এবং চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে ঈদ উদ্যাপিত হচ্ছে। এছাড়া নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ২৫টি গ্রাম, লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি গ্রাম, পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০টি গ্রাম এবং শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার একটি গ্রামসহ বেশ কিছু স্থানে ঈদ উৎসব পালিত হচ্ছে।

বেশ কিছু বছর ধরে এসব এলাকার লোকজন সৌদি আরব তথা মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে রোজা এবং ঈদ পালন করে আসছে। যদিও ইসলামী বিধান অনুযায়ী চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এসব অনুশাসন মানার বিধান রয়েছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ভোলা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here