মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-ভৈরব মেঘনা নদীর উপর নবনির্মিত দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. জিয়াউল হক মৃধাকে অতিথি না করায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ জানিয়েছে তিনি।
বুধবার সন্ধায় স্থানীয় গণমাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত বক্তব্যে তিনি এই ঘটনায় হতাশ ও ব্যথিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। এই অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় শুধু তাকে অবমাননা নয়, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার সাধারণ জনগনকে অবমাননা করা হয়েছে বলে দাবী করেন। এসময় তিনি এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতুটি উদ্বোধন করবেন।
এ উপলক্ষে নবনির্মিত রেলসেতুর ভৈরব প্রান্তে মেঘনা নদীর পাড়ে রেলওয়ে বিভাগ আয়োজিত সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
এউপলক্ষে রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন স্বাক্ষরিত আমন্ত্রনপত্রে রেলমন্ত্রী মো. মজিবুল হক এমপি, রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনকে বিশেষ অতিথি করা হলেও সরাইল-আশুগঞ্জ এলাকার সংসদ সদস্যকে বিশেষ অতিথি না করে সাধারণ একটি আমন্ত্রন পত্র দেয়া হয়েছে। অথচ দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুর অধিকাংশ অবস্থান আশুগঞ্জ সীমানায়।
এই নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড.জিয়াউল হক মৃধা ক্ষোভ ও দুংখ প্রকাশ করে আরো জানান যে, তিনি জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হওয়ায় তাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এসময় তিনি দাবি করেন অতীতেও এই রকম অবমাননাকর পরিস্থিতি স্বীকার হতে হয়েছে তাকে। এই ঘটনায় তিনি হতাশ ও ব্যথিত হয়েছেন বলে জানান।