সৈকত দত্ত, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: শরীয়তপুরের ডামুড্যায় জাতীয় পত্রিকার পরিচয় দানকারী এক ভূঁয়া সাংবাদিককে গণধোলাই দিয়েছে ক্ষুদ্ধ জনতা। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের কাছে জনৈক রোমান আখন্দ দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে সংবাদ ও বিজ্ঞাপন প্রকাশের কথা বলে গত নভেম্বর মাসে ৫ হাজার টাকা নেয়।
কিন্তু সংবাদ বা বিজ্ঞাপন কোনটাই প্রকাশ না করায় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম রোমান আখন্দের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সে বিভিন্ন টালাবাহানা করতে থাকে। শুক্রবার দুপুরে রোমান আখন্দকে ডামুড্যা বাসস্টান্ড এলাকায় দেখতে পেয়ে শহিদুল ইসলাম তার কাছে টাকা ফেরত চান।
কিন্তু রোমান আখন্দ তার কাছে পুনরায় আরো টাকা দাবী করে এবং টাকা না দিলে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের হুমকী দেয়। দুজনের তর্কবিতকের্র সময় স্থানীয়রা সেখানে ভিড় করে এবং রোমান আখন্দের পরিচয়পত্র দেখতে চায়। কিন্তু পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় এক পর্যায়ে ক্ষুদ্ধ জনতা তাকে মারধর করে।
ডামুড্যার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় একজন সমাজসেবক হিসেবে সংবাদ ও বিজ্ঞাপন প্রকাশের কথা বলে ইতিপূর্বে রোমান আখন্দ আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়। কিন’ আমার কোন সংবাদ বা বিজ্ঞাপন সে প্রকাশ করেনি। বিষয়টি আমি ইতিপূর্বে লিখিত ভাবে শরীয়তপুর প্রেসক্লাবকে জানিয়েছিলাম। আজ (শুক্রবার) ডামুড্যায় তাকে দেখতে পেয়ে আমি তার কাছে টাকা ফেরত চাই। সে তখন আরো ৫ হাজার টাকা দাবী করে এবং না দিলে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করার হুমকী দেয়। এ সময় স্থানীয় জনতা তার পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে সে তাদেরকে গালিগালাজ করতে থাকে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে তারা তাকে গণধোলাই দেয়।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, জনৈক রোমান আখন্দের নামে সাংবাদিক পরিচয়ে অসৎ আচরণের অনেক অভিযোগ রয়েছে। ডামুড্যার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামও অভিযোগ করেছিলেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শহিদুল ইসলামকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম।