আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির খোঁজে যে স্থানে এতোদিন অনুসন্ধান চালানো হচ্ছিল- শুক্রবার সে এলাকা বাদ দিয়ে নতুন এলাকায় অনুসন্ধান চালানো শুরু হয়েছে। নতুন স্থানটি আগের অবস্থান থেকে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার উত্তরে।
মালয়েশিয়া থেকে প্রাপ্ত নতুন তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। জানা গেছে, পূর্বে যে সময়ে বিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে গিয়েছিল বলেন মনে করা হয়েছিল- সেটি সঠিক নয়, জ্বালানি শেষ হয়ে গিয়েছিল এতোদিনের অনুমিত সময়ের আরও আগেই।
রাডার ও উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- বিমানটি অনুমিত গতির চেয়েও অনেক বেশি গতিতে উড়ে গিয়েছিল। তাতে করে বিমানের জ্বালানিও দ্রুত ফুরিয়ে গেছে। যে কারণে নিপতিত হওয়ার সম্ভাব্য স্থানটি চলে গেছে আগের চেয়ে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার বা ৬৮৫ মাইল উত্তরে।
অস্ট্রেলীয় অনুসন্ধানী দলটি জানিয়েছে- শুক্রবার নিউজিল্যান্ড বিমান বাহিনীর একটি বিমান নতুন নির্দেশিত স্থানে কিছু আলামত খুঁজে পেয়েছে। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্যে জাহাজ যোগে পরিদর্শন করা জরুরি। কিন্তু শনিবারের আগে তা সম্ভব নয়।
নিউজিল্যান্ডের বিমানবাহিনীর অনুসন্ধানী দলটি শুক্রবার নতুন স্থানের প্রায় ৩ লাখ ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চলে অনুসন্ধান চালিয়েছে, যা আয়তনে বাংলাদেশের প্রায় দেড়গুণ।
উল্লেখ্য, ৮ মার্চ ২৩৯জন আরোহী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী এমএইচ৩৭০ ফ্লাইট নম্বরের মালয়েশীয় বিমানটি ভারত মহাসাগরের ওপর নিখোঁজ হয়। বিমানটির আর কোনো যাত্রী বেঁচে নেই বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।