গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন

হিলি : বাংলাদেশে কয়লা রপ্তানি করতে ভারত কাষ্টমস কতৃপক্ষ রফতানিকারকদের শর্ত আরোপ করেছে। এনিয়ে সেদেশের কাষ্টমস ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের মাঝে সৃষ্ট শর্ত জটিলতার কারনে শনিবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার দুপুর থেকে আবারও আমদানি শুরম্ন হয়েছে।

এদিকে কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় ওপার সীমান্তের পাইপ লাইনে আটকা পড়ে যায় প্রায় দু’শতাধিক কয়লা বোঝাই ট্রাক।

নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার মেঃ  টন কয়লা আমদানি হলেও গেলো সাতদিনে এ বন্দর দিয়ে ১০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা আমদানি হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা ও আমিনার রহমান জানান,  এতদিন ভারত কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের শর্ত ছাড়াই কয়লা আমদানি হয়ে আসছিল। যখনি বাংলাদেশে কয়লার চাহিদা বেড়েছে ঠিক তখনি  নতুন শর্ত আরোপ করলো সেদেশের কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে করে বিপাকে পড়তে হলো এ দেশের আমদানিকারক প্রতিষ্টান ও ইট ভাটা মালিকদেক। ব্যবসায়ীদেরকে প্রতিদিন ট্রাক প্রতি গচ্চা দিতে হলো ১ হাজার ভারতীয় রুপি ডিটেনশন চার্জ।

হিলি চেকপোষ্ট জিরো পয়েন্টে ভারত হিলি এক্সপোর্টার এন্ড রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক অশোক মন্ডল জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে কয়লা রপ্তানি করতে হলে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষকে জিম্মানামা দিতে হবে। কারন ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সেদেশের সরকার কোন কারনে শুল্ক নির্ধারন করলে তাদেরকে তা পূরন করে দিতে হবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন যেহেতু কয়লা শুল্ক মুক্তভাবে এ যাবত পর্যন্ত কোন বাধা ছাড়াই। কাষ্টমস তাদেরকে এই বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। আর এগুলো সুরাহা করতে রপ্তানি কাজ করতে দু’দিন দেরি হলো।

হিলি কাষ্টমস সহকারী কমিশনার মহিববুর রহমান ভূঞা জানান, সরকার ইতিমধ্যে কয়লা আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই সেদেশ থেকে কয়লা আমদানি বন্ধের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি জানান, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার মেঃ টন কয়লা আমদানি হয়েছে। এরমধ্যে গত ৭ দিনেই আমদানি হয়েছে ১০ হাজার মেঃ টন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here