temple-655ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী জুড়ে অজস্র হিন্দু মন্দির। দলে দলে মানুষ যায় সেসব জায়গায় মনকামনা পূর্ণ করতে। এইসব মন্দিরের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে রহস্যের গন্ধ। আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে অনেক গল্প। যার কোনও যুক্তি। শুধুই মানুষের বিশ্বাসে আজও চলে আসছে সেইসব গল্প-রীতি-আচার। রইল তেমনই কিছু অদ্ভূত রহস্যময় মন্দিরের বিবরণ।

চিদাম্বরম:

temple 1
চিদাম্বরমে শিবের মন্দির বিখ্যাত। থিল্লাই নটরাজন মন্দির হিসেবেই খ্যাত এই মন্দির। তামিলনাড়ুর এই মন্দির পঞ্চভূতের একটি ভূতের বলে মনে করা হয়। আকাশ, অগ্নি, বায়ু, জল ও ভূমির মধ্যে এই মন্দির আকাশ লিঙ্গের। সেই কারণেই এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল এখানে মূর্তি অদৃশ্য বা অনুপস্থিতও বলা চলে। একটি পর্দার পিছনে একটি ফাঁকা জায়গা রয়েছে। সেখানেই ভগবান থাকেন বলে মনে করা হয়। তবে শোনা যায়, যখন পুজো হয় তখন ব্রাহ্মণ এক সেকেন্ডের জন্য ওই পর্দা সরালে মূর্তি দেখতে পায়।

পানাকালা নরসিংহ স্বামী:
temple 2
মঙ্গলগিরি পাহাড়ের চুড়োয় অবস্থিত এই মন্দির। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া-গুন্টুর রোডে নেমে যেতে হয় এই মন্দিরে। এখানে ভগবানকে বিষ্ণুর নরসিংহ অবতারে পুজো করা হয়। তবে এখানেও রয়েছে কিছু বিস্ময়কর রহস্য। ভগবানকে গুড় মেশানো জল দেওয়া হয়। শোনা যায়। মূর্তির মুখে জল ঢেলে দেওয়ার পর তার অর্ধেকটা নেমে আসে গাল বেয়ে। বাকি অর্ধেকটা ভগবান গ্রহণ করেন বলেই কথিত আছে। এমনকী জল ঢালার সময় জল খাওয়ার আওয়াজও শোনা যায়। আরও অবাক-কাণ্ড, মেঝেতে গুড় মেশানো জল পড়ে থাকলেও সেখানে পিঁপড়ে দেখা যায় না একটাও।

সিমাচলম:
temple 3
অন্ধ্রের বিশাখাপত্তনমের কাছে অবস্থিত এই সীমাচলম মন্দির। এখানে পুজো করা হয় নরসিংহের। একদিন বাদে বছরের সব দিন মূর্তির গোটা গায়ে লেপে দেওয়া হয় চন্দনের প্রলেপে। নরসিংহের উগ্র চরিত্র রুখতেই এই ব্যবস্থা করা হয়। একদিন মূর্তির গা থেকে সব চন্দন ধুয়ে ফেলা হয়। তাঁর নিজের রূপে তাঁকে দেখা যায়। এই দিনটিতেই বিশাখাপত্তনমে সবথেকে বেশি গরম পড়ে বলে মনে করা হয়।

স্তম্ভেশ্বর মহাদেব:
temple 4
ভদোদরা থেকে ৪০ মাইল দূরে অবস্থিত এই মন্দির। আরব সাগরের উপকূলে অবস্থিত এই মন্দির মাঝে মাঝেই সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায়। ভাটার সময় দেখা যায় মন্দির। জোয়ারের সময় সেটি অদৃশ্য হয়ে যায়। অনেকেই এই অদৃশ্য হবে যাওয়া আর ফিরে আসা দুটোই দেখেছেন। শবের আরাধনা হয় এই মন্দিরে।

খাবিস বাবা:
temple 5
উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের এই মন্দিরে ভগবানকে দেওয়া হয় মদ। এই মন্দিরে কোনও মূর্তি কিংবা ব্রাহ্মণ নেই। ১৫০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই মন্দির। খাবিস বাবার পুজো করতেই তৈরি হয়েছিল এই মন্দির। তিনি শিবের এক রূপ বলে মনে করা হয়। মদ্যপ অবস্থায় তিনি অনেকের রোগ সারিয়ে দিতে পারেন বলেও শোনা যায়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here