রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় ও শাখার সুরক্ষাসহ ব্যাংকিং কাযক্রম নিবিঘ্ন ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করাসহ বিদ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে অনুরোধ করা হলো।

যুদ্ধাপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে গত ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে জামায়াত-শিবির কর্মীদের নাশকতার মধ্যে ব্যাংক খাতও আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়।

এরপর নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান দুই দলের মতবিরোধে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে মাস দুয়েক আগে থেকে বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধে সারা দেশে নতুন করে সংঘাত-সহিংসতার সৃষ্টি হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিরাজমান অস্থিরতা ও নাশকতার ফলে ব্যাংকগুলোতে বিভিন্ন ধরনের হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ‘অনভিপ্রেত’ ঘটনা ঘটছে।

এ ধরনের ঘটনা ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের সহিংসতা একদিকে সাধারণ গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের নিরবচ্ছিণ্ন ব্যাংকিং সেবা পাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে ব্যাংক কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে বিশেষ উদ্বেগের সৃষ্টি করছে।

এ অবস্থায় স্থাপনা সুরক্ষাসহ ব্যাংকের বার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে  নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এর আগে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকেও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ওই চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগেও পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here