টিটাবাজিতপুর এম কে বি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর(যশোর) প্রতিনিধি :: যশোরের কেশবপুরে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টিটাবাজিতপুর এম কে বি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কেউ বর্ষা মৌসুমে ছাতা আনতে ভুল করে না। কারণ বিদ্যালয় ভবনের ছাউনির টিন ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে শ্রেণী কক্ষে পানি পড়ে। ফলে ছাতা মাথায় দিয়ে অনেক সময় ক্লাস করতে হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিলোমিটার দক্ষিনে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের টিটাবাজিতপুর, মোমিনপুর, খোপদহী, ভান্ডাখোলার গ্রামের মাঝখানে টিটাবাজিতপুর এম কে বি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি অবস্থিত। অজপাড়া গায়ে নারী শিক্ষার প্রসারের লক্ষে ১৯৯১ সালের জানুয়ারি মাসে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় বিদ্যালয়টি গড়ে তোলা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বিভিন্ন পরীক্ষার ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আসছে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অত্র বিদ্যালয় থেকে ২০ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলেই সফলতার সাথে পাশ করেছে। এর আগেও ২০০৮ ও ২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষায়ও এ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাশ করেছিল। কিন্তু অদ্যাবধি এ বিদ্যালয়ে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান জানান, তার বিদ্যালয়ে বর্তমান প্রায় ২০০ ছাত্রী লেখাপড়া করে। প্রতিষ্ঠা লগ্নের সেই একটি ভবনে ছাত্রীদের স্থান সংকুলানও হয় না। পুরাতর ওই ভবনটির পিছনের দেওয়ালটিও পুকুরের মধ্যে ধ্বসে পড়ছে। প্রতিষ্ঠানটি কেশবপুর উপজেলার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে এগিয়ে থাকলেও বর্তমান সময়ে বর্ষা মৌসুমে শ্রেনীকক্ষে পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

টিনের ছাউনি ছিদ্র হয়ে বৃষ্টির পানি শ্রেণী কক্ষে পড়ছে। এই অবস্থার ভিতরেও ছাত্রীরা ছাতা মাথায় দিয়ে শেণী কক্ষে পাঠদান করছে। এ বিষয়ে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমান বলেন, টিটাবাজিতপুর এম কে বি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি এ বছর এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টে কেশবপুরের মুখ উজ্জল করেছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই প্রতিষ্ঠানকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here