আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিকদের মাঝে সিলোকোসিস রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত্যু যেন তাদের পিছু ছাড়ছে না। এক দিনের ব্যবধানে বুধবার সকালে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মজিবর রহমান নামে আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার নুরুজ্জামান নামে বুড়িমারী স্থলবন্দরের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারী সংস্থা বিলস এর হিসাব মতে বুড়িমারী স্থলবন্দরে গত তিন বছরে এ রোগে মোট ৪১ জন প্রাণ হারালেন।
মজিবর পাটগ্রাম উপজেলার ৮নং বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা বামনদল এলাকার ইয়াকুব উদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মজিবরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১ মাস চিকিৎসা চলে। তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে কয়েক দিন আগে তাকে বাড়িতে নিতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন। বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, বুড়িমারীতে অবস্থিত ঢাকার একটি কারখানায় পাথর ক্রাসিংয়ের কাজ করতেন মজিবর। প্রায় তিন বছর ধরে এ কাজ করে আসছিলেন তিনি। পাথর ক্রাসিংয়ের সময় উড়ন্ত ধুলা নাক-মুখ দিয়ে শরীরে ঢুকে সিলোকোসিস রোগের জন্ম দেয়।
মজিবর ছাড়াও আরো প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক এ রোগে আক্রান্ত হন। ঢাকার বিলস নামের একটি সংগঠন এসব রোগীকে সনাক্ত করে।
বাংলাদেশের মধ্যে বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রথম এ রোগটি সনাক্ত করা হয়।
এ পর্যন্ত মজিবর ও নুরুজ্জামানসহ ৪১ জন সিলোকোসিস রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু আতঙ্কে রয়েছেন আরো প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক।