আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলাধীন হাতিমুড়া এলাকার তাসলিমা আক্তার নামের ১৫ বছর বয়সের এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলবনে ধর্ষনের এক চাঞ্চলকর তথ্য পাওয়া গেছে। রবিবার রাতে গুইমারা বিজিবি সেক্টর সংলগ্ন ইদ্রিস মিয়ার স্ত্রী রুনা আক্তার নামের এক নারী দালালের ভাড়া ঘরে এ ঘটনা ঘটে। সে নোয়াখালী মাইজদির বাসিন্দা বলে জানা যায়। ধর্ষিত মেয়ের বাড়ী গুইমারা উপজেলার হাতিমুড়া এলাকায়।
পরের দিন বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে জানা জানি হলে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। রাতেই এলাকাবাসী এ ঘটনা খবর পেয়ে ঘটনার মুল হোতা ধর্ষক মাটিরাঙ্গা পৌরসভার হাতিয়াপাড়ার বাসিন্দা মিলন (৫০) নামের এক পাষন্ড সোমবার সকালে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নুরন্নবীসহ কয়েক জন মিলে ধর্ষনকারীর কাজ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পরে একটি মোটা অংকের অর্থ দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে একটি দর কসাকসিতে তাকে ছেড়ে দেয়।
এ সময় আপোষ-মিমাংসার নামে মেয়ের নামে বাবা-মায়ের অজান্তে মাটিরাঙ্গা পৌর সভা সংলগ্ন এলাকায় মেয়ের নামে জায়গা দেওয়ারও কথা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়।
এ সময় বিচারকের ভূমিকায় দফারফার চেষ্টা করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা, ডা: নুরন্নবী, মাটিরাঙ্গা ৯নং পৌর ওয়ার্ড কমিশনার মো: সোহেল,তাহেরা,সাপ্লাই ইকবাল, নুরন্নবীর বোন ও আলম গাজী। এ ঘটনায় হাতিমুড়া পুলিশ ক্যাম্প আইসি আবুল কালাম ও কনস্টেবল নাসির মেয়ের স্বজনদের মুখ না খুলতে হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ দিকে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জুবাইয়েরুল হকের ভূমিকাও রহস্য জনক বলে দাবী করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
তবে বিষয়টি স্বীকার করে সাপ্লাই ইকবাল ২ দফায় ধর্ষনের ঘটনার কথা জানিয়ে বলেন, শুনেছি নবী ও তার লোকেরা ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছে। রুনার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এদিকে ধর্ষিতা তাকে বিয়ের প্রলবণে তাকে ২ বার ধর্ষনের কথা স্বীকার করে বলেন, তাকে রুনা বাড়ি থেকে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে রাতে জোর করে ধর্ষণ করে।
কিশোরী ধর্ষণের এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও মেয়ের স্বজনরা ধর্ষনের সাথে জড়িত ও তার সহযোগিদের আইনের আওতায় এনে বিচার ও যথাযথ প্রদক্ষেপ গ্রহণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জোর দাবী জানান।