আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:: অবশেষে পুলিশ ধর্ষনকারীর বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আটক করেছে অভিযুক্ত মামলার ধর্ষণকারী। গুইমারা থানার পুলিশ গত ৬ এপ্রিল ২০১৭ বৃহস্পতিবার ধর্ষিতা কিশোরীর মা হাওয়া বিবির অভিযোগ গ্রহণ করে জড়িত মিলন মিয়াকে আটক করে।
এ মামলার অপর আসামী রুনা বেগম এখনও আটক হয়নি। পুলিশ ৬ এপ্রিল ২০১৭ এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১)/৩০ ধারায় মামলা গ্রহণ করে। মামলা নং ০১।
এ মামলায় ঘটনার আসল সহযোগি ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রুনা বেগমকে দ্বিতীয় আসামী করা হয়। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: ইয়াছিন বলেন, বৃহস্পতিবার মেয়ের মা বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করে। পুলিশ জড়িত মিলনকে আটক করেছে। মামলার অপর আসামীকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত: খাগড়াছড়ির গুইমারায় বিয়ের প্রলবণ দিয়ে জোর পূর্বক ১৫ বছরের এ কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা হাতিমুড়া এলাকার মৃত বাচ্ছু মিয়ার কন্যা। গত রবিবার হাতিমুড়া মেয়ের বাড়ি থেকে এনে রাতে গুইমারা বিজিবি সেক্টর সংলগ্ন ইদ্রিস মিয়ার স্ত্রী ভাড়ায় জোর পুর্বক ধর্ষন করে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে সোমবার সকালে হাতে নাতে আটকের পর জালিয়াপাড়ার ডা: নুরন্নবীসহ কয়েক জন মিলনের কাজ থেকে মোটা অংঙ্কের অর্থ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে গুইমারা থানার পুলিশ তাকে অভিযান চালিয়ে আটক করে।
এ ঘটনায় বিচারকের ভূমিকায় দফারফা চেষ্টা চালিয়ে ডা: নুরন্নবীসহ অন্যানদেরও শাস্তি দাবী করেন স্থানীয়রা। এদিকে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে অকথ্য ভাষা গালিগালাজকারী হাতিমুড়া পুলিশ ক্যাম্প আইসি আবুল কালাম ও কনস্টেবল নাসির এর অপসারণ দাবী করেছে পেশাজীবি সংবাদকর্মীরা। গুইমারায় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।