লক্ষ্মীপুর বিসিক শিল্প নগরীর বেহাল দশা, কারখানা স্থাপনে আগ্রহ হারাচ্ছে উদ্যোক্তারাজহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: বেকার সমস্যার সমাধান ও শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে লক্ষ্মীপুরে বিসিক শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। শহরের বাঞ্চানগর এলাকায় ১৬ একর ভূমির উপর সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৪ সালে এটির কাজ সম্পন্ন হয়। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২১ বছর পরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখানে। ৬০টি শিল্প প্রকল্পের মধ্যে বর্তমানে চালু আছে মাত্র ২৮টি প্রকল্প। যেখানে বেকারী, ওয়েল মিল, সয়াবিন প্রক্রিয়াজাত করণ, অটো রাইচমিল, মবিল রি-প্যাকিং ফ্যাক্টরীসহ বিসিক শিল্প নগরীতে শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি।

শিল্প নগরীর গ্যাস ও পানিসহ নানামুখী সংকটের কারণে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে, ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। বিশেষ করে গ্যাস সমস্যার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় মালিকদের। বর্তমানে ৯টি কারখানায় গ্যাস সংযোগ রয়েছে, বাকীদের ভরসা একমাত্র লাকড়ী। এ ছাড়া নাজুক হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা।

কাঁচা মাল নিয়ে শিল্প নগরীতে প্রবেশ করতে পারছেনা বড় বড় গাড়ী গুলো। খানাখন্দ আর জলাবদ্ধতায় বিসিকের সব কয়টি সড়ক। শুরু থেকেই এমন হওয়ায় কারখানা স্থাপনে আগ্রহ হারাচ্ছে নতুন নতুন শিল্প উদ্যোক্তারা। আর উৎপাদনে আসা প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিকরা রয়েছেন লোকশানে। যার ফলে এখন বন্ধ হওয়ার পথে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এ দিকে পানির টাংকি থাকলেও ১০ বছর ধরে সাপ্লাই বন্ধ থাকায় এর সুফল পাচ্ছেনা কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা।

সরজমিনে বিসিক শিল্প নগরীতে গিয়ে দেখা যায়, মুল ফটক থেকে শুরু করে বিসিক এলাকার সকল রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে খানা খন্দে পুরো রাস্তা এখন পরিণত হয়েছে যেন পুকুরে। যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন অবস্থায় পণ্য আনা নেয়ায় বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে শিল্প মালিকদের। প্রায় সময়ে দূর্ঘটনাও ঘটছে। একই সঙ্গে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে ঠিক মতো ময়লা নিষ্কাশন হচ্ছেনা। এতে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় যত্রতত্র ময়লা ফেলায় দূর্গন্ধ ছড়িয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শ্রমিকরা।

বিসিকি শিল্প নগরীর সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, বিসিক শিল্প নগরীর রাস্তা আছে কিন্তু রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা। এতে করে কোন গাড়ী লোড আনলোড করতে পারছেনা। এ ছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক, পানি নিস্কাষনের কোন ব্যব্যস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে পানির নিচে থাকতে হয় আমাদের। এতে যাতায়াতসহ উৎপাদনে বিঘœ হচ্ছে। ফলে এখানকার বেশির ভাগ মালিকরাই ঋণের বোঝা টানতে গিয়ে অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এসব সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী ও শিল্প মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক মো, আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিসিক শিল্প নগরী জন্মলগ্ন থেকেই সমস্যায় জর্জরিত। বিভিন্ন উৎপাদনমূখী প্রতিষ্ঠান অনেকটাই লোকশানের পথে। ৬০টি প্লটের স্থানে মাত্র ২৮টি কারখানা চালু রয়েছে। রাস্তা-ঘাট খানা-খন্দে ভরা, নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা, গ্যাস-পানি সংকটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো অন-উন্নত হওয়ায় আজ বিসিক শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান হলে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি জেলার বেকার সমস্যা অনেকটাই দূর হবে বলে মনে করছেন তিনি।

বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ সব সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সময় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারী ভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না পাওয়াতে অবকাঠামো মেরামত করা যাচ্ছেনা। গ্যাস সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, এটি জাতীয় সমস্যা, তব

Print Friendly, PDF & Email