স্টাফ রিপোর্টার :: ‘বিষন্নতাকে করবো জয়, জীবন হবে গতিময়’- এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্র।
শুরুতেই দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ বিষন্নতা, কথা বলা ও সচেতনতা’ বিষয়ে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনের প্রধান আলোচক এনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি’র শীর্ষ সমন্বয়কারী জনাব ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ।
এর পূর্বে সুপ্র’র ভাইস চেয়ারপার্সন জনাব মঞ্জু রাণী প্রামাণিক -এর সভাপতিত্বে সুপ্র পরিচিতি ও সম্মেলনের ধারণাপত্র পাঠ করেন সুপ্র’র সাধারণ সম্পাদক জনাব এম এ কাদের।
বক্তারা সুস্পস্টভাবে বলেন যে, হতাশা এখন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার প্রধান কারণ। হতাশা বা ডিপ্রেশন সেই মানসিক অবস্থাকে বোঝায় যখন মানুষ সবসময় দুঃখবোধের মধ্যে থাকে এবং প্রতিদিনের কর্মকান্ডে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ক্রমাগত হতাশায় আক্রান্ত মানুষের মাদকাসক্তি, আত্মঘাতী প্রবণতা, ডায়বেটিস ও হৃদরোগের ঝুকি বৃদ্ধি পায়। এজন্য বক্তারা মানসিক স্বাস্থ্যে উন্নয়নে খুন, আত্বহত্যা, ধর্ষণসহ নানা ধরনের বর্তমান সমাজের অস্থির পরিস্থিতির সুষ্ঠু মোকাবেলায় সরকারের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বিষন্নতা প্রতিরোধে সরকারি পর্যায়ে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেয়ার দাবি জানান।
সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন, নাগরিক স্বাস্থ্যের সকল দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে। এক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার হিসাবে ‘স্বাস্থ্য’ কে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করতে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ভেজাল ঔষধ ও খাদ্য সুস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। সরকারকে এদিকে কড়া নজরদারি ও সুষ্ঠু পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বক্তারা বলেন যে, স্বাস্থ্যখাতের বেসরকারিকরণ এখন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলছে সামনের দিকে। ফলে স্বাস্থ্যকে অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা দিনে দিনে অনেকটাই বিবর্ণ হতে চলেছে। স্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রদান করা হলেও, সেগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাস্থ্যখাতের বেসরকারিকরণ সুষপষ্টভাবে স্বাস্থ্যসেবায় ধনী এবং দরিদ্রের বৈষম্যকে ক্রমশ প্রকট করে তুলছে।