২০/১। টান টান উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতিতে তাইজুলের হাতে অজিদের নীল বিষের ঘড়া পূর্ণ হল। সেই সঙ্গে সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম দ্য অস্ট্রেলিয়ানের শিরোনম, ‘জাতীয় দলের ঐতিহাসিক হার’। আরেক সংবাদমাধ্যমের হাইলাইট, ‘অজিদের জন্য সময়ের সেরা বিপর্যয়’।

 

ভারতের দৈনিক দ্য হিন্দুস্থান ও জার্মানির সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে টেস্ট সিরিজের মূল ক্রেডিট স্পিনারদের দিতে দেরি করেনি। সর্বশেষ তাইজুল কোপে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর এই দুই পত্রিকার হেডলাইন হয়, রোমাঞ্চকর বিজয় স্পিনারদের’ ও ‘স্পিন ফাঁদে আটকে গেছে অস্ট্রেলিয়া’।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমের আরেক প্রতিবেদনের শিরোনাম হয়, ‘ব্যাটিং ধ্বসে ধাক্কা খেয়েছেন অস্ট্রেলিয় নাগরিকরা’। এতে বলা হয়, ‘ডেভিড ওয়ার্নারের শতরানের পর হঠাৎ করেই ঘুরে গেল ম্যাচের মোড়। ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি বাংলাদেশে খেলা দেখতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার পর্যটকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারেনি। ঢাকাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপর্যয় দেখেছে তারা। জাতীয় দলের জন্য অন্যতম একটি বিপর্যয় ডেকে আনল বাংলাদেশ।

এসবিএস এবং বিবিসি সিরিজের মূল নায়ক সাকিবকেই বিজয়ী প্রতিবেদনের শিরোনামে তুলে ধরে। এতে বলা হয়, ‘সাকিব তারায় জ্বলজ্বল করছে বাংলাদেশ।’ বল হাতে ১০ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৮৯ রান নিয়ে অজিদের হার্টবিট বাড়িয়ে দিয়েছেন এই টাইগার সদস্য। শতরান পাড়ি দেয়া জুটি ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথকে স্পিন টোপে ফেলে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন সাকিব।

তবে বিশ্ব পরাশক্তির অন্যতম এই দলের বাংলাদেশের কাছে টেস্ট হার সহজে হজম করে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ক্রিকেট মিনোজদের হাতে পরাজয়ের পীড়া ভোগ করছে জাতীয় দল’। ‘মিনোজ’ বা ‘ছোট’ দল বলে যখন বাংলাদেশকে উপহাস করা হচ্ছিল ঠিক তখনই মিরপুরে স্টেডিয়ামে অজি বধের উল্লাস ও ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের হেডলাইন,‘ বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণ অস্ট্রেলিয়ার।’

এখন শুধুই ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের অপেক্ষা । ঈদের আনন্দের পর হোয়াইটওয়াশের আরেক তৃপ্তি লাভের প্রত্যাশায় ক্রিকেট পাগল বাঙ্গালি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here