জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্ব ‘বাবা’ দিবস। এ দিনটি কেবলই বাবার জন্য। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার দিবসটি পালন করা হয়।
‘মা’ এর মতো ‘বাবা’ শবাদটা ছোট্ট। তবে এর ব্যাপকতা বিশাল। ভাষাভেদে শব্দ আর স্থানভেদে বদলায় উচ্চারণ, তবে বদলায় না রক্তের টান। দেশ থেকে দেশে কিংবা সময় থেকে সময়ে একই মমতায় চিরন্তন পিতা-সন্তানের বন্ধন।
‘বা’ নামটা ভরসা ও ছায়া। পরম নির্ভরতার নাম। সন্তানের জন্য কী-ই না করেন তিনি! ডাকটার মাঝেই লুকিয়ে থাকে কী গভীর ভালবাসা, নিরাপত্তা, নির্ভরতা। সাহিত্যে, গীত-আনন্দ ও লোককথা-শিল্পকর্মে বাবা স্থান করে নিয়েছেন এক দায়িত্বশীল স্নেহময় পুরুষ হিসেবে। সন্তানের দুঃসময়ে বাবা ডেকে নেন তাকে। বুকে চেপে রাখেন। ঘুচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সব কষ্ট। বাবার সাথে সন্তানের সম্পর্ক বন্ধুত্বেরও।
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যে শব্দগুলো সবার আগে তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তার অন্যতম হচ্ছে ‘বাবা’। এ যেন সন্তানের কাছে চিরন্তন আস্থার প্রতীক।
কোনো শিশু যখন এই শব্দ উচ্চারণ করতে শেখে তখন বাবার মন পুলকে ভরে যায়। বাবা বলে ডাকতে পারাতে বাবার হাস্যোজ্জ্বল অনুভূতি যেন সেই অবুঝ শিশুর হৃদয়কে মুহূর্তেই আন্দোলিত করে তোলে।
এদিন অনেকেই বাবাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। অনেক দেশে কার্ডও উপহার দেয়া হয়। যাদের বাবা বেঁচে নেই, তারা হয়তো আকাশে তাকিয়ে অলক্ষ্যে বাবার স্মৃতি হাতড়ায়।
এদিকে, বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও বিশেষ অপশন চালু করেছে।
বাবা দিবসের প্রচলন বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই। ১৯১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিতৃদিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণার বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷