বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি চলছেস্টাফ রিপোর্টার :: ১২ জানুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ উপলক্ষে মাঠে চলছে ইজতেমা আয়োজনের প্রস্তুতি। ইজতেমার লাখো মুসল্লির জন্য থাকছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

গোটা দেশকে চার ভাগে ভাগ করে ১৪ জেলার মুসল্লিদের নিয়ে ১২ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। পরবর্তী ধাপে ১৩ জেলার মুসল্লিদের জন্য ২য় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে ১৯ জানুয়ারি।

প্রথম ধাপে নারায়নগঞ্জ, মাদারীপুর, নড়াইল, মাগুরা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, লক্ষীপুর, শেরপুর, নাটোর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, পঞ্চগড় এবং ঢাকার একাংশের মুসল্লিদের জন্য মাঠে জায়গা নির্ধরণ করা হচ্ছে।

এই দুই ধাপের পর বাকী জেলাগুলোর মুসল্লিদের জন্য আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে ২ পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। প্রতিবছর ইজতেমায় মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ২০১৬ থেকে নতুন এই নিময়ে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

তবে ইজতেমায় যোগ দিতে বিদেশি মুসল্লিদের জন্য কোন বাধ্য বাধ্যবাধকতা নেই। আয়োজকরা বলছেন, প্রায় ২৫ হাজার বিদেশী মুসল্লির জন্য এছর ইজতেমা মাঠে সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এবারের ইজতেমায় ১২০টি দেশ থেকে মুসল্লিরা আসবেন বলে ধারনা করা আয়োজকদের। বিশাল এই ধর্মীয় জমায়েত আয়োজনের জন্য ব্যস্ত এখন তুরাগ পাড়।

মাঠে এখন চলছে সামিয়ানা টাঙ্গানো, মঞ্চ নির্মাণের কাজ। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা এবং আশে পাশের জেলা থেকে অনেকেই এসেছেন ইজতেমা মাঠে কাজ করতে। তাবলীগ জামাতের তদারকিতে সবাই কাজ করছেন মনের আনন্দে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর মুসল্লিদের জন্য ২৫টি টয়লেট স্থাপনা নির্মাণ করছে। এছাড়া লাখ লাখ মুসল্লির বিশুদ্ধ পানির জন্য সংস্কার করা হয়েছে পুরনো সব গভীর নলকুপ। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।

সেনাবহিনীর সহায়তায় তুরাগ নদীতে নির্মাণ করা হচ্ছে ১২টি ভাসমান সেতু। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে ইজতেমার সময় মাঠে এবং এর আশে পাশে মোতায়েন থাকবে কয়েক হাজার নিরাপত্তা কর্মী।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here