ইবোলাবাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক থেকে:: জাতিসংঘের ইবোলাবিষয়ক মিশনের প্রধান টনি ব্যানবেরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই ভয়াবহ ভাইরাস বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ার ‘ব্যাপক ঝুঁকি’ এখনো রয়ে গেছে। পশ্চিম আফ্রিকার তিনটি দেশ এখন ব্যাপকভাবে এই ব্যাধির শিকার।গতকাল সোমবার ইবোলা আক্রান্ত সিয়েরা লিওনের রাজধানী ফ্রিটাউনে টনি ব্যানবেরি ইবোলার বিস্তার নিয়ে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইবোলা এই পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

যে কেউ এই রোগ নিয়ে বিমানে এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা বা ইউরোপে পাড়ি জমাতে পারে। তাই এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা শূন্যে নামানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনে প্রতি সপ্তাহে ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এ তিনটি দেশেই সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে এই মরণব্যাধি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে ছয় হাজার ৯২৮ জন মারা গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৬ হাজারের ওপর।

গত অক্টোবরে ব্যানবেরি জাতিসংঘের নিরাপত্তা সংস্থাকে জানিয়েছিলেন, ইবোলা নির্মূল করতে হলে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত মানুষের ৭০ শতাংশকে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। আর নিহত ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশকে নিরাপদে কবর নিশ্চিত করতে হবে।

জাতিসংঘের দেওয়া লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে ব্যানবেরি বলেন, ‘ইবোলা আক্রান্ত তিনটি দেশের বেশির ভাগ এলাকায় এ লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।

তবে কিছু এলাকায় যেমন: সিয়েরা লিওনের এই ফ্রিটাউন শহর বা পোর্ট লোকো শহরে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এসব এলাকায় আমাদের জোরেশোরে কাজ করতে হবে।’ ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের কবর দেওয়ার সময় এই রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা মত দেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here