nahidষ্টাফ রিপোর্টার :: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এক অনুষ্ঠানে বলেন, আমি না হয় স্কুল, কলেজের কথা বাদই দিলাম, বাংলাদেশের কোনো বাবা-মা ও কি তাদের সন্তানদের পড়াশোনার ব্যাপারে  আন্তরিক নন? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পড়ার জন্য সারা বাংলাদেশে তিনজন মেধাবী ছেলে-মেয়ে নেই?
তিনি বলেন, আপনারাই বলেন, তাদের ভর্তি পরীক্ষায় নাকি মাত্র দুইজন পাশ করেছে। এটা কিভাবে সম্ভব? আমি মনে করি, বাংলাদেশে মেধাবী ছেলে-মেয়ের কোনো অভাব নেই। তাদের ভর্তি পরীক্ষাই ত্রুটিপূর্ণ। এসএসসি, এইচএসসিতে যেখানে ছাত্ররা ৪০ ঘণ্টা করে মোট ৮০ ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে, সেখানে তারা মাত্র এক ঘণ্টার একটি এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমেই মেধা যাচাই করে ফেললেন?
কোনো ভাবেই এটাকে যথার্থ মেধা যাচাই প্রক্রিয়া বলা যায় না বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, ড. জাফর ইকবাল সাহেব এই ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে অনেক চেষ্টা করেছেন। সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্য একটি মাত্র পরীক্ষা আয়োজনের কথা বলেছিলেন, সেক্ষেত্রেও বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজি হয়নি। কারণ ভর্তি বাণিজ্য। দেশে ভর্তি বাণিজ্যে মোট টাকার পরিমাণ ৩২ হাজার কোটি টাকা।
কোচিং ব্যবসা, গাইড ব্যবসাও এদের সাথে জড়িত। ভর্তি বাণিজ্যের সাথে অনেকেই জড়িত তাই নানা ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের হয়রানি করা হচ্ছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আধুনিক এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন একটি বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা।
সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর কাছে রোল মডেল।
সিডনিতে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ইনক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে এ নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সিডনির রকডেলে ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পিএস চুন্নুর উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক শাখাওয়াৎ নয়ন, রাসেল আহমেদ, ড. রতন কুন্ডু প্রমুখ।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, চুয়াডাংগা জেলার সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, আল-নোমান শামীম, ড. বায়জীদুর রহমান, রহমত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলী সিকদার, আমিনুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here