আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়িতে বিনা নোটিশে ৮৭ গ্রুপ কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় ঠিকাদাররা।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ঘোষনার ফলে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আজ রবিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টার পুর্ব নির্ধারিত মানববন্ধন প্রশাসনের অনুরোধে বাতিলের পর সকাল ১১টায় ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।
এতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের দুর্নীতিবাজ কর্তা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়ম অমান্য করে বিনা নোটিশে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৮৭ গ্রুপের কাজের ভাগ-ভাটোয়ারা বিষয় তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত কপি পাঠ করেন, ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন, ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব দিদারুল আলম ও ঠিকাদার তাজুল ইসলাম বাদল। এতে উপসি’ত ছিলেন, ঠিকাদার ফিরোজ আহম্মদ, মোমিমুল হক,হোছেন আহম্মদ চৌধুরী,মোজাহার নবী প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও টেন্ডার কমিটির আহবায়ক পরিষদ সদস্য মংসেইপ্রু চৌধুরী অপুর দৌরত্মে সাধারণ ঠিকাদাররা দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদের কোন উন্নয়ন মুলক কাজে অংশ গ্রহণ করতে পারছে না। ইতি মধ্যে দুদক উপ-পরিচালক রাঙ্গামাটির দপ্তরে এ বিষয় নিয়ে মামলা রয়েছে বলে জানান।
এছাড়াও পরিষদের কর্তা-ব্যক্তিরা সব ধরনের উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে লুটপাটের অভিযোগ তুলে বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৭টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১০১ গ্রুপ কাজ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আনলেও বাকি ৮৭ গ্রুপের কাজ গোপনে নিজেদের মধ্যে নিয়ম বর্হিভুত ভাবে বন্টন করে নেয়। টেন্ডার কমিটির আহবায়ক মংশেইপ্রু চৌধুরী অপুকে টেন্ডারবাজ খ্যাত (এমপির জামাতা) উল্লেখ করে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করছে বলে অভিযোগ করেন।
সরকার নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইজিপি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেন্ডার আহবানের নির্দেশ থাকলেও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ তা শুরু করেনি বলে জানান। এ পরিষদ সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিপরীত মূখী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ এনে পরিষদের কাজের অনিয়মের খতিয়ান তুলে ধরে সরকারের প্রণীত আইন বর্হিভুত কার্যক্রমের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপুর্ন দপ্তরে অভিযোগপত্র প্রেরণ করে। ঠিকাদারদের গণ স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রের পরিষদের এ সব পরিষদ সদস্য মংশেইপ্রু চৌধুরী অপুসহ দূর্নীতিবাজদের ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রকল্পের নামে প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে অগ্রীম অর্থ ছাড় করাসহ বিভিন্ন কাজের নানামূখী দূর্নীতির নথি তুলে ধরে অনিয়মের কুমিরদের হাত থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান।