মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি :: আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ঘর ঘোছাতে পারেনি, জগাখিচুড়ি ঐক্যের পরিণতি তারা পদে পদে অনুভব করছেন। যার কারণে তাদের সেক্রেটারি জেনারেলের অফিসে গিয়ে মনোনয়ন বঞ্চিতরা হামলা চালাচ্ছে। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, যারা মনোনয়ন পাননি, তারাই হামলা চালাচ্ছে। এ ধরনের অভিযোগ আ.লীগে নেই। নির্বাচনের দিন যতই যাচ্ছে, ততই তাদের এ এলোমেলো অবস্থার জন্য তাদের এই জগাখিচুড়ি ঐক্য আজকে ভঙ্গুর অবস্থায় নিপতিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে তাঁর নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের কাছারিরহাট বাজারে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কাদের।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার গত ১০বছরে পুরো দেশে যে উন্নয়ন করেছে সাধারণ মানুষ সে উন্নয়নের কারণেই পুনরায় আ’লীগকে বিজয়ী করবেন। তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকার নানা উন্নয়নের অবস’া তুলে ধরে বলেন, কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা এসব এলাকার মানুষ বিএনপির সময় শিকিভাগও চোখে দেখেনি।
নির্বাচন পরিবেশ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ঠিকই আছে। ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ গত কয়েকদিন ধরে নেতাকর্মী নিয়ে এ এলাকায় গণসংযোগ করে নির্বাচনে আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। এআসনে মওদুদ সাহেবের কোন জনপ্রিয়তা নেই। তিনি জনগণের কাছে কিভাবে ভোট চাইবেন। গত ২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি ২২টি কাজও দেখাতে পারবেন না। তারা নিজেরাই তাদের গণসংযোগে বোমা বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আ’লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। বিএনপি নিজেরা যে কোন ঘটনা ঘটিয়ে এর দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে। তাই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ, জেলা আ’লীগের সদস্য ডাঃ এ.কে.এম জাফর উল্যাহ, কবিরহাট উপজেলা আ’লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, কবিরহাট উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত প্রমুখ।
