বারী সিদ্দিকী আর নেইস্টাফ রিপোর্টার :: প্রখ্যাত সুরকার, গীতিকার, বংশীবাদক ও সঙ্গীতশিল্পী বারী সিদ্দিকী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি……. রাজিউন)। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

গত ১৭ নভেম্বর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বারী সিদ্দিকী। এরপর যখন তাকে দ্রুত স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তিনি অচেতন ছিলেন। তখন তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার দুটি কিডনি অকার্যকর ছিল। তিনি বহুমূত্র রোগেও ভুগছিলেন। বারী সিদ্দিকীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী বলেন, বছর দুয়েক যাবৎ বাবা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। গত বছর থেকে সপ্তাহে তিন দিন কিডনির ডায়ালাইসিস করছেন তিনি।

বারী সিদ্দিকীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী জানান, বাবার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে, তারপর বিটিভিতে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় জানাজা।

আর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বারী সিদ্দিকীর বিদ্যাপীঠ নেত্রকোনা সরকারি কলেজ মাঠে বাদ আসর। এরপর তাকে জেলা সদরের চল্লিশা বাজারের কার্লি গ্রামে নিজস্ব বাউলবাড়িতে দাফন করা হবে।

দীর্ঘদিন সঙ্গীতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবার কাছে বারী সিদ্দিকী শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে। ওই বছর হ‌ুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিটি মুক্তি পায়। এই ছবিতে তিনি ছয়টি গান গেয়ে রাতারাতি আলোচনায় আসেন।

তার জনপ্রিয় হওয়া গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘শুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’।

বারী সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় এক সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পরিবারের কাছে গান শেখায় হাতেখড়ি তার। সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here