এস এম মাসুদ আলম, ঝিনাইগাতী, শেরপুর
খাদ্য,চিকিৎসা, বস্ত্র, কর্মসংস’ান ও বাসস’ানের অভাবে গ্রামের মানুষ তিল তিল করে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে । শেষ বয়সে দাড়িয়েছে সন-ানের অবহেলায় ভিক্ষার থলি হতে নিয়ে । সমাজের বিত্তশালীরা প্রবীণদের জীবনের দিকে তাকায় না । সরকার যদিও একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড দিয়েছে এতেও ভাগাভাগী করার ফলে তার জীবন চলছে ক্ষুদার সাথে যুদ্ধ করে । একটি লাঠি হাতে নিয়ে কয়টাকাই বা পায় এই বৃদ্ধ, কয়টা দোকানে যেতে না যেতেই দিন চলে যায়। রাতে আর ভিক্ষাও দিতে চায় না দোকান মালিকরা ।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১০৪ বছর বৃদ্ধের বযস্ক ভাতা কেড়ে নেয় কার্ড ধারীর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার প্রতাব নগরে । জীবনের শেষের দিকে এসে ভিক্ষার পেশার নিয়োজিত হয়েছেন ১০৪ বছরের বৃদ্ধ শহর মাহমুদ । তার বয়স্ক ভাতা ভাগ বাটোয়ারা করে খায় বলে জানায় এ প্রতিনিধিকে । জানা যায় সাবেক মেম্বার রমজান আলীকে বৃদ্ধ শহর মাহমুদ একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড চাইতে গেলে আজ কাল বলে সময় ক্ষেপন করেন। বৃদ্ধার ছেলে লাল মিয়া (৩০) যুবকের সাথে পরামর্শ করে ওই মেম্বার কার্ডেও বিনিময়ে টাকা নিয়ে শর্তসাপেক্ষে কার্ড প্রদান করে বৃদ্ধার নামে । কিন’ বৃদ্ধা টাকা গুলো উত্তোলন করে ছেলেকে দিতে হয় অর্ধেক অথচ অভাগাতা ছেলে তাকে দেখাশোনা করে না। ফলে ভিক্ষার থলি নিয়ে বাজারে দোকানে দোকানে ভিক্ষা করে বেড়ান শহর মাহমুদ ।
যুবক ছেলে কাজ করতে পারে মেম্বারের কথায় তাকে বয়স্কের ভাতার অর্ধেক দিতে হয় এ কোন মানবিক ? বহু কাকুতি মিনতীর পরেও কাজ হয়নি মেম্বারকে টাকা দিয়ে কার্ড করে নিয়ে শর্তসাপেক্ষে এই অবস’ায় চলে আসছে । এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন খাঁন বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার আগের ঘটনা এটা আমি শুনেছি এ ব্যাপারে ব্যবস’া নেওয়া হবে। বৃদ্ধ জানায়, আমার পুত্র লাল মিয়াকে ভাতার অর্ধেক টাকা না দিলে ঝগড়া বিবাদ করে কার্ড সংগ্রহ করতে মেম্বারকে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা ফেরৎ চায় । আমি দিতে পারি না বিধায় বাধ্য হয়ে অর্ধেক দিতে হয়। সমাজে এই ভাবে আরও অহরহ ঘটনা চোঁখের আড়ালে নিরবে চলছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দিতে সচেতন মহল আহবান রাখেন।