স্টাফ রিপোর্টার :: নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতের উন্নয়নে কাউকে পেছনে ফেলে নয় বরং সাম্যতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ওয়াশ খাত সংশ্লিষ্ট গবেষক, উন্নয়নকর্মী এবং ওয়াশ নেটওয়াকিং সংস্থাসমূহ।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
ওয়াশ খাতের উন্নয়নে স্বাস্থ্যবিধি ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক বরাদ্দ বৈষম্য দূর করার উদ্দেশ্য সরকারের মনোযোগ আকর্ষণেওয়াটারনএইড, ইউনিসেফ, পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি), ফানসা-বিডি, ডব্লিউএসএসসিসি-বি, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন এন্ড ওয়াটার ফর অল ও ওয়াশ এ্যালায়েন্স যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ওয়াশ নেটওয়ার্কিংয়ের এক গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করে পিপিআরসি চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, জাতীয় বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দের বড় অংশ মেট্রোপলিটন এলাকায় কেন্দ্রিভূত। এছাড়া দক্ষতার অভাবে বরাদ্দের পুরো অর্থ ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন (এসডিজি) এবং মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে পানি,স্যানিটেশন ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ আরো বাড়াতে হবে। এই খাতে নজর না দিলে বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
এজন্য তিনি আগামী বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং অর্থের সুব্যবহার নিশ্চিত করতে বাস্তবায়ন সক্ষমতা বাড়ানোর সুপারিশ করেন।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৬ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এর পমিাণ ছিল মাত্র ২ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা।
হোসেন জিল্লুর বলেন, স্থানভেদে ওয়াশ কার্যক্রমে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্য বিরাজমান।ছোট শহর,চর, উপকূলীয় ও পাহাড়ী অঞ্চলের তুলনায় মহানগরগুলো অধিক বরাদ্দ পাচ্ছে।এই অসাম্যতা দূর করে অন্তর্ভূক্তিমূলক বরাদ্দ নিশ্চিত এবং তৃনমূল পর্যায়ে ওয়াশ খাত উন্নয়নের চাহিদা তৈরির আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফ বাংলাদেশের চীফ অফ ওয়াশ ডারা জনস্টোন, ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ ওয়াশ এ্যালায়েন্স এর কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর অলোক মজুমদার, ডরপ এর গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।