ৃুি িাৃযজাহিদ আবেদীন বাবু কেশবপুর (যশোর)প্রতিনিধি :: যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ির কপোতাক্ষ নদের উপর ২১০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোই নদের দু’পাড়ের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র উপায়। নদ পাড়ের তালা, কলারোয়া ও কেশবপুরের মানুষের যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকোটি ব্যবহার হয়ে থাকে। সাগরদাঁড়ি বাজার কমিটিসহ নদের দু’পাড়ের মানুষ সম্মিলিত ভাবে বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেন। বর্তমানে সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের জন্মভূমির সাগরদাঁড়ি’র কপোতাক্ষ নদের উপর ঝুঁকিপূর্ণ ওই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়েই স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরও আসাযাওয়া করতে হয়। তাছাড়া এলাকার মানুষদের হাট বাজারে মালামাল আনা নেওয়াসহ যাতায়াত করতে হয়। আর একারণে মালামাল আনা নেওয়ায় ব্যবসায়ীদের পড়তে হয় বিপাকে।

মধুকবির স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের উপর ব্রীজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় এলাকাবাসীর ভেতর তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। ওই স্থানে ব্রীজ নির্মাণ হলে কেশবপুর, তালা, কলারোয়া, সাতক্ষীরাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ সহজে সাগরদাঁড়িতে যাতায়াত করতে পারবে। পাশাপাশি কৃষকর সহজে তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য হাটে এনে বিক্রি করতে পারবে। তাতে করে এলাকাবাসীর জীবনযাত্রার মানও বৃদ্ধি হবে।

তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে এলাকার স্কুল, কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসতে হয়। মধুকবির জন্মজয়ন্তি উপলক্ষে প্রতি বছর সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পার হয় মেলা উপভোগ করার জন্য।

সাগরদাঁড়ি হাটের কাঁচা মালামাল ব্যবসায়ী নদের ওপারের শার্শা গ্রামের সঞ্জয় দাস বলেন, নদের উপর ব্রীজ না থাকায় তাদের মালামাল আনতে হয় কাঁধ বা মাথায় করে। সাগরদাঁড়ি বাজারে নদের ওপারের প্রায় ৫০ জন ব্যবসায়ী হাটে ব্যবসা করে থাকেন। ওপাড়ের কৃষক অতুল জানান, বর্ষা মৌসুমে সাঁকোর উপর দিয়ে কৃষি পণ্য আনা নেওয়া করতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

সাগরদাঁড়ির বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী ওই স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি করে আসছে। নদের দু’পাড়ের মানুষ বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। গত ১ মাস আগে বাজার কমিটির উদ্যোগে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে ২১০ ফুটের লম্বা ওই সাঁকোটি পুন:নির্মাণ করা হয়েছে। মধুমেলা উপলক্ষে মানুষের যাতায়াতের জন্য সাঁকোটি মজবুত করার জন্য নতুন করে নিচে বাঁশ দিয়ে শক্ত করা হয়েছে।

সাগরদাঁড়ির সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিল্পী আব্দুর সাত্তার খাঁন জানান, কপোতাক্ষ নদের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে মহাকবি মাইকেল মধসূদন দত্তের জন্মভূমিতে অবস্থিত সকল প্রতিষ্ঠানসহ বাজারটিও উন্নত হত। পাশাপশি মধুপল্লীতে পর্যাটকদের ভীড় বাড়ত।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here