স্টাফ রিপোর্টার :: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমি আর আমার ছোট বোন রেহানা ৩৯ বছর ধরে শোকে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের দুর্ভাগ্য, সেদিন আমরা দেশের বাইরে ছিলাম।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আমরা আর দেশে আসতে পারিনি। কারণ জিয়া আমাদের দেশে আসতে দেয়নি।” পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন|
আজ শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার মানুষের জন্য নিজের জীবনের সুখ-আহ্লাদ সবকিছুই ত্যাগ করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। ১৫ আগস্টের কালো রাতে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ঘাতকরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হয়েও কখনো রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকেননি। তিনি ৩২ নম্বরে সব সময় সাধারণ জীবনযাপন করতেন। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। শুধু তাকে নয়, পরিবারের অন্য সদস্য আমার ভাই, ভাইয়ের বউ, আমার মা, আমার ছোট ভাই রাসেলকে হত্যা করা হয়।”
শেখ হাসিনা বলেন, “খন্দকার মোশতাক, যে কিনা জাতির পিতার মন্ত্রিসভায় ছিলেন, সে বেঈমানি করলেন। কিন্তু বেঈমান-মুনাফিকরা বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। নবাব সিরাজদৌল্লার সঙ্গে বেঈমানি করে মীর জাফররাও তিন মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। খুনি মোশতাক বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “যারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে গণহত্যা চালিয়েছে, যাদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন; অনেকের নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, নুহ-উল আলম লেনিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।