বগুড়ায় র্যাবের অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গুলিতে রাঙ্গা নামে একজন নিহত হয়েছে। র্যাব জানায়, নিহত রাঙ্গা অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো। মঙ্গলবার শহরের রবিবাড়িয়ায় তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার সহযোগিদের গুলিতে রাঙ্গা নিহত হয়। নিহত রাঙ্গা (২৮) গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফরজান আলীর ছেলে। বর্তমানে বগুড়া শহরের মালতিনগর ভাইপাগলা মাজার লেন এলাকায় থাকতেন। এছাড়া অভিযানে বিপুল পরিমাণ ওষুধ, আগ্নেয়াস্ত্র, হাত বোমা ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার এবং এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব-১২ স্পেশাল কোম্পানী বগুড়া থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, কিছুদিন থেকে র্যাবের একটি দল অস্ত্র ব্যবসায়ী বগুড়া শহরের সুত্রাপুর এলাকার মৃত সমশের আলীর ছেলে রেজাউল (২৫) ও শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া গ্রামের বাচ্চুর ছেলে শাকিলের (২৮) সঙ্গে অস্ত্র ক্রয়ের জন্য যোগাযোগ চালাতে থাকে। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯ টায় অস্ত্রটি লেন দেনের কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ তারা অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। এরপর র্যাবের একটি দল সাদা পোশাকে তাদের অনুসরন করতে থাকে এবং শহরের কলোনী বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তল্লাশী করে রেজাউলের প্যান্টের পকেট থেকে একটি ৩০৩ রাইফেলের গুলি পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায় রাঙ্গার কাছে অস্ত্র আছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মালতিনগর পাইকাড়পাড়া এলাকা থেকে রাঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাঙ্গাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনটি হাত বোমা ও বড় তিনটি দেশী ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অস্ত্রের বিষয়ে রাঙ্গা জানায় সেটি ওই এলাকার তার প্রতিবেশি বাধনের বাড়িতে আছে। পরে বাধনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি হাত বোমা এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) ৮ বস্তা বিভিন্ন রকমের ওষুধ পাওয়া যায়। সেসময় বাধনের বাবা আব্দুর রশিদ ও মা হাসনা বানুকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে গ্রেফতারকৃত রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ি তার বন্ধু শহরের মালগ্রাম এলাকার জাবেদ আলীর ছেলে মোস্তফা ওরফে মোস্তর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ওয়ান সুটারগান ও কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং মোস্তকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে রাঙ্গার দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া শহরতলীর রবিবাড়িয়া এলাকায় রাঙ্গাকে সঙ্গে নিয়ে একটি নার্সারীতে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে ওই নার্সারীর ভেতরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তার দুইজন সহযোগি র্যাব দলকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষন করতে করতে পালাতে থাকে। তাদের ছোড়া গুলি রাঙ্গার বুকে লাগে। গুলিবিদ্ধ রাঙ্গাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশী রিভলবার, ছয় রাউন্ড গুলি, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি হাসুয়া ও একটি ছোড়া উদ্ধার করা হয়।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/তানসেন আলম/বগুড়া