এবছর বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর চরে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখানে গত বছরের তুলনায় এবছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও বেশী জমিতে গমের চাষ করা হয়েছে। এবার ফলন ভাল হওয়ায় এলাকার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনতলা উপজলোয় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষমাত্রা করা হয়েছিল। শেষ পর্যনত্ম লক্ষ মাত্রার চেয়ে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর বেশী জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। গত বছর উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছিল। গতবছরের তুলনায় এবার গম চাষের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বেশী চাষ করা হয়েছে।
উপজলোর মধুপুর ইউনিয়নে চরমধুপুর, হরিখালী, হাঁসরাজ, সাতবেকী, মোনারপটল, রংরার পাড়া, বিশুর পাড়া, আড়িয়ার ঘাট, চরমোহনপুর, খাবুরিয়া, সরলিয়া, মহব্বতের পাড়া, ভিখনের পাড়া, আমতলী, পদ্মপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, হুয়াকুয়া, সোনাকানিয়া, শ্যামপুর, পোড়াপাইকর এলাকায় গমের চাষ তুলনাহারে বেশী হয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষক মুকুল মিয়া, মোয়াজ্জেম আলী, নছিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, সেকেন্দার আলী, নজবুল, আব্দুর রহমান, তোজাম্মেল হক, জাহের আলী জানান, কৃষকেরা কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার খুচরা ও পাইকারী মূল্যে সহজেই হাতের নাগালের মধ্যে পেয়েছে। তাই এবার বেশী জমিতে গম চাষ করা হয়েচে। তারা আরও জানান, ধান চাষের তুলনায় গম চাষ লাভজনক ফসল। উৎপাদন খরচও কম তাই কৃষক গম চাষে ঝুঁকে পড়েছে। চরের প্রতি বিঘা জমিতে ২৫-৩০ মন গম উৎপাদন করতে পারে বলে তারা জানান। প্রতি মন গম ৭০০-৮০০ টাকায় হাটে-বাজারে সহজেই বিক্রি করতে পারে তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রওশন জামাল জানান, গম একটি অর্থকারী ও লাভবান ফসল। কৃষক ধানের চেয়ে গম চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। সহজেই এ ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/তানসেন আলম/বগুড়া