সজল দেব, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের ৪ নম্বর কুপ থেকে পরীক্ষা মূলক ভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। এ কুপ থেকে আগামি জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে জাতীয় গ্রীডে প্রতিদিন ৪০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
বাপেক্সের ব্যবস’াপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ মঙ্গলবার বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের চতুর্থ কুপে রোববার থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলনের কাজ শুরু করা হয়। এরপর কিছু টেকনিক্যাল কাজ শেষে এ কুপ থেকে আগামি জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ হতে জাতীয় গ্রীডে প্রতিদিন ৩৫-৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে এ ফিল্ডের দুই ও তিন নম্বর কুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে এবং প্রতিদিনন জাতীয় গ্রীডে প্রায় ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রাথমিক সার্ভেতে এ ফিল্ডের মজুদ ধারণা করা হচ্ছিল প্রায় ২৮৩ বিলিয়ন ঘন ফুট (বিসিএিফ) গ্যাস। এরমধ্যে প্রায় ৭৬ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২০৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা এলাকার ফেঞ্ছুগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডে পাকিসতান আমলে পাকিস-ানের পেট্টোলিয়াম করপোরেশন প্রথম কুপ খনন করে পাকিস-ান আমলে। কিন’ উৎপাদনে আশানুরুপ ফল না পেয়ে ১৯৬১ সালে ফেঞ্ছগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কুপ পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে চলে যায়।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাপেক্স ১৯৮৫ সাল থেকে এ গ্যাস ফিল্ডে কাজ শুরু করে। ২০০৪ সালের মে মাস থেকে এ গ্যাস ফিল্ডের ২ নম্বর কুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করে বাপেক্স । তবে ত্রুটির কারণে এ কুপটি ২০০৭ সালে থেকে প্রায় এক বছর সিল থাকার পর ২০০৮ সালের অক্টোবরে পুণরায় চালু হয়। ২নম্বর কুপটিকে ২৭৬৮ মিটার থেকে ২৭৮১ মিটারে বিদ্যমান লোয়ার জোন পর্যন- সমপ্রসারিত করে সফল গ্যাস উত্তোলন হয়ে আসছে।
এ গ্যাস ফিল্ডের ৩ নম্বর কুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় ২০০৫ সালের প্রথম দিকে। এবছর এ ফিল্ডের ৫ নম্বর কুপ খননের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে বাপেক্স সুত্র জানিয়েছে।