১৬ ডিসেম্বর ২০১১, আমরা বিজয়ের চল্লিশ বছর উদ্যাপন করছি। আমাদের এই অর্জন আমাদের গর্ব, অহঙ্কার ও গৌরব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে বাঙালীকে সর্বাত্মক লড়াই করে শত্রুকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান। বাঙালী তাঁর নির্দেশ মতো ঘরে ঘরে দুর্গ গড়েছে, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে গেরিলা যুদ্ধ করেছে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছে। নিরীহ শান্তিপ্রিয় বাঙালী গ্রেনেড চার্জ করেছে, বোমা ছুড়েছে। বন্দুক-স্টেনগান হাতে বনে-বাদাড়ে, জলে-স্থলে ছুটেছে শত্রু নিধনে। নয় মাস তারা যুদ্ধ করেছে, শত্রু মেরেছে, ব্রিজ উড়িয়েছে, অবশেষে দেশকে শত্রুমুক্ত করে পাকিস্তানী সৈন্যদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, চিকিৎসা দিয়েছে ভারত। প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাদের আশ্রয় ও খাদ্য দিয়েছেন_এটা তাঁর মহত্ত্ব। ভারতের জনগণসহ সারাবিশ্বের জনগণ আমাদের পাশে ছিল। তারা সাহায্য ও সমর্থন দিয়ে আমাদের শক্তি যুগিয়েছে_এটা তাদের মহানুভবতা। বিশ্ব বিবেক আমাদের জন্য জাগ্রত ছিল। পাক সেনাদের গণহত্যা, নারী নির্যাতন, লুটপাট মানবিক মূল্যবোধকে অবমাননা করেছে, ভূলুণ্ঠিত করেছে।
মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতীয় বীর। কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতার এই যুদ্ধ জয় বিশ্বে আমাদের বীরের জাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা গেরিলা যুদ্ধ করে বিশ্বকে দেখাতে সমর্থ হয়েছি বাঙালী স্বাধীনতা অর্জন করতে জানে। আমরা মরতে ভয় করি না। আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনব্যাপী আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন বাঙালী জাতির অসত্মিত্ব প্রতিষ্ঠায়। বাঙালীর হাজার বছরের স্বপ্ন সফল করতে তিনি ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা করেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।” এই ভাষণ শোনার পর বাঙালী আর ঘরে ফেরেনি। তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। তারা একাত্ম হতে থাকে_আর নয় পাকিস্তানীদের সঙ্গে। বঞ্চনা-বৈষম্য-নিপীড়ন থেকে মুক্ত হয়ে এবার স্বাধীন করতে হবে বাংলাদেশকে। একাত্তরজুড়ে এই চেতনা আমাদের সাহসী করেছে, শক্তি যুুগিয়েছে।
২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকেই শোনা যাচ্ছিল নানা গুজব। আব্বা আমাকে জোর করে হাসু আপার সঙ্গে তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। আমি বাড়ি ছেড়ে যেতে চাইনি, খুব কান্নাকাটি করেও লাভ হয়নি। আব্বা অনেক আদর করে চোখের পানি মুছিয়ে জোর করে পাঠিয়ে দিলেন। পরে আব্বা বলতেন, পাকিসত্মানের কারাগারে বসেও আমি তোর সেই কান্না শুনতাম। ধানম-ি পনেরো নম্বর রোডে হাসু আপার বাসায় গিয়ে উঠলাম। সেই রাত থেকেই শুরম্ন হয়ে গেল গোলাগুলি। রাসত্মাঘাটে মানুষ সন্ধ্যা থেকেই গাছ কেটে ফেলে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু পাকসেনাদের সশস্ত্র হামলায় কেউ টিকতে পারেনি। তারা মানুষ মেরে রাসত্মাঘাটে ফেলে রাখে। ঘরে ঘরে ঢুকে মানুষ মারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে, হলে হলে, বসত্মিতে কোথাও বাকি রাখেনি। আমরা সারারাত মেঝেতে বসে কাটালাম আর চারদিকের গুলির আওয়াজ শুনলাম। দেশের মানুষের জন্য দুশ্চিনত্মায় রাত কাটালাম। পরদিন কারফিউয়ের মধ্যে কামাল ভাই তাঁর বন্ধু ওমর ভাইকে পাঠালেন। তিনি ২৬টি বাড়ির দেওয়াল ডিঙ্গিয়ে আমাদের কাছে এসে খবর দিলেন আব্বাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বাড়ির আরও অনেককে ধরে নিয়ে গেছে। মা পরদিন সকালে জামাল ভাই ও রাসেলকে নিয়ে প্রতিবেশী ডাক্তার সামাদের বাসায় উঠেছেন। কামাল ভাই আগের রাতে ব্যারিকেড দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে চলে যান। ২৭ মার্চ কারফিউ উঠলে বত্রিশে এসে কাউকে পেলাম না। পাশের বাসায় শুনলাম মা, রাসেল ও জামাল ভাইকে নিয়ে খোকা কাকা অন্য কোথাও চলে গেছেন।
মে মাসে মগবাজারের একটা বাসা থেকে দুপুর বেলা আমাদের পাকসেনারা বন্দী করে। আমরা প্রথমে যেতে চাইনি। অনেক তর্কাতর্কি হয়। মা কিছুতেই যেতে রাজি হচ্ছিলেন না। তখন তারা বলে তাহলে পাকিসত্মানে বন্দী করে নিয়ে যাবে। তারা হাসু আপাকে সঙ্গে নিতে চায়নি। তখন মা বলেন, হাসু আপা ও খোকা কাকাকে ছাড়া তিনি যাবেন না। তারা ধানম-ি ১৮ নং রোডের একটি পরিত্যক্ত বাসায় নিয়ে আমাদের বন্দী করে রাখে।
দেখতে দেখতে ডিসেম্বর মাস এসে গেল। ৩ ডিসেম্বর পাকিসত্মান ভারতের সীমানত্মে প্রথম যুদ্ধ শুরম্ন করে দিল। রেডিওতে খবর শুনতাম। মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তাঞ্চল দিয়ে ঢাকা আসছে। এবার তারা ঢাকা দখল করবে। হঠাৎ একদিন দেখি আকাশে পেস্ননের শব্দ। সৈন্যরা সব ভয় পেয়ে ট্রেঞ্চে লুকালো। আমরা বারান্দায় গিয়ে আকাশের ডগফাইট দেখলাম। আমরা রাতে হেলিকপ্টারের শব্দ শুনলাম। তারা বোমা ফেলত। রেডিওতে বার বার সতর্ক করা হতো। আমরা বুঝতাম যুদ্ধ এবার পুরোদমে শুরম্ন হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর বেতারে শুনলাম, জেনারেল মানেকশ আত্মসমর্পণের জন্য পাকিসত্মান সেনাবাহিনীকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। পেস্নন থেকে কাগজের লিফলেট ছাড়ত আত্মসমর্পণের জন্য। আমরা ঘরে বসে বসে প্রহর গুনছিলাম। মা তসবিহ হাতে বসে থাকতেন। সৈন্যদের চেহারা দেখে মনে হতো তারা ইচ্ছে করলে যে কোন সময় আমাদের মেরে ফেলতে পারে।
১৬ ডিসেম্বর ভোরবেলা দূর থেকে হাল্কা শব্দে গুলির আওয়াজ শুনলাম। একসময় অনেক দূর থেকে জয় বাংলা সেস্নাগান শুনলাম। অবশেষে রেডিওতে ঘোষণা দেয়া হলো দুপুরে পাকসেনারা আত্মসমর্পণ করবে। স্বাধীন বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছে। বাইরের উৎসবের ঢেউ মৃদু ছন্দে আমাদের কাছে এলেও আমরা সেদিন বন্দী ঘরে বসে বসে প্রহর কাটাচ্ছিলাম। আমাদের বন্দী করে রাখা সৈন্যদের সংখ্যা আগেই বাড়িয়ে রেখেছিল। তারা ইচ্ছেমতো যখন-তখন শুধু গুলি চালিয়ে যাচ্ছিল। আমাদের দেখে যাচ্ছিল মাঝে মাঝে। আমরা তাদের বললাম, দেশ তো মুক্ত হয়েছে, আমাদের এখন ছেড়ে দাও। জেনারেল অরোরার কাছে নিয়াজী আত্মসমর্পণ করেছে, তোমরাও করো। সেদিন সারারাত তারা গুলি ছুড়ল। বাড়ির আশপাশের এলাকার মানুষ ঘর থেকে বেরম্নতে সাহস পায়নি। সামনের রাসত্মায় একটা গাড়ি যাচ্ছিল। কেউ আমাদের দেখতে আসছিলেন সেই গাড়িতে করে। ঐ গাড়িতেও গুলি করা হয়। একজন মহিলার মাথায় গুলি লাগে। পরে জানতে পারি তিনি ডা. আয়েশা। তাঁর সঙ্গে তাঁর দু’টি শিশুকন্যাও ছিল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। আমরা জানালায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখছিলাম। বিকেলে আত্মসমর্পণের পর দেখি একটা জীপে পতাকা উড়িয়ে জয় বাংলা গান বাজাতে বাজাতে দশ/বারোজন যুবক যাচ্ছে। একজনকে দেখলাম খসরম্ন ভাই (নায়ক)। আমি চিৎকার করে ডাকলাম, খসরম্ন ভাই, জয় বাংলা। হাসু আপা আমার জামা টেনে ধরল। আমি বললাম_এখন তো আমরা স্বাধীন হয়ে গেছি। মেরে ফেললেও ক্ষতি নাই। এই বাড়ি থেকে পাকসেনারা ঐ জীপের মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর গুলি করলে একজন জীপের বাইরে পড়ে যায়। আরেকজন জীপের মধ্যেই পড়ে থাকে আহত হয়ে এবং জীপের ভেতর থেকে গেরিলা স্টাইলে আহত মুক্তিযোদ্ধাকে তারা তুলে নিয়ে চলে যায়। বাইরের আনন্দকে দেখতে পাচ্ছি না, শুধু অনুভব করছি। সারারাত রেডিও শুনে কাটালাম। ঘুম এলো না আর চোখে। আব্বার জন্য চিনত্মা আর হৃদয়ে বিজয়ের আনন্দ_আমাদের সে অনুভূতি কেমন করে বোঝাব।
অবশেষে ১৭ ডিসেম্বর ভোর এসে গেল। জানালায় দাঁড়িয়ে আমরা দেখতে পেলাম একজন দাড়িওয়ালা লোক সৈন্যদের বলছে_আমি ভাবির কাছে যাব। পরে চিনতে পারি তিনি হাজী মোর্শেদ। ২৫ মার্চ রাতে আব্বার গ্রেফতারের খবর সবখানে জানাচ্ছিলেন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালায়। ওনার সঙ্গে আমাদের চোখাচোখি হয়, কিন্তু কোন কথা হয়নি। তিনি গিয়ে রেডক্রসে খবর দেন। হাজী কাকা চলে যাবার পর গেটের বাইরে বিদেশী সাংবাদিক দেখলাম। রমা জানাল ক্যামেরা নিয়ে বহু বিদেশী সাংবাদিক এসেছে, যারা সাহেবের কাছে আসত।
আমরা ঘরে বন্দী অবস্থায় বসে আছি। রেডিও শুনছি। ভাবছি না জানি বাইরের মানুষ কত আনন্দ করছে। মুক্ত হওয়ার স্বাদ কতখানি মধুর। বেলা বাড়ছে আর আমাদের মধ্যে জেদ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। রাসেলও অস্থির। ভাবছি কখন মুক্ত হয়ে বাইরের মুক্ত বাতাস নেব। আনন্দ উপভোগ করব। দেশের মানুষ কত আনন্দ করছে আর আমরা এখনও বন্দী জীবনযাপন করছি। সারারাত যে নরপশু সৈন্যটি গুলি করছিল, সে তখন ঘুমাচ্ছিল।
গেটের কাছে অনেক সৈন্য দেখলাম। তাদের পোশাক দেখে ভাবলাম এরা কারা? তাদের সঙ্গে অনেক বিদেশীও ছিল। সঙ্গে ছিল ক্যামেরাসহ বিদেশী সাংবাদিকও। তাদের ভেতর থেকে এক ভদ্রলোক আহ্বান জানালেন পাকসেনাদের আত্মসমর্পণ করতে। তার কাছেও কোন অস্ত্র ছিল না। বার বার অনুরোধ করলেও পাকসেনারা বিশ্রী ভাষায় গালাগাল দিচ্ছিল। অনেক তর্কবিতর্ক চলল। তারপর তাকে পাকসেনারা এক ঘণ্টা পর আসতে বলল। ঐ কথা শুনে আমরা ভেতর থেকে হাত নেড়ে চিৎকার করলাম, এক ঘণ্টা সময় দেবেন না, তাহলে আমাদের মেরে ফেলবে, আমাদের ছেড়ে যাবেন না। আমাদের দেখতে পেয়ে সেই ভদ্রলোক তাদের আত্মসমর্পণ করতে আবার বলেন। নিচে যারা পাহারায় ছিল একজন পশতু সৈনিক পায়েন্দা খান প্রথম আত্মসমর্পণ করে। তখন তার দেখাদেখি অন্যরাও করে। পরে সেই ঘুমিয়ে থাকা নরঘাতক সৈন্যটিও উঠে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। আমরা দরজা ঠেলে বাইরে বের হলাম। মুক্তির স্বাদ কত মধুর, কত আনন্দের সেই উপলব্ধি বুঝে ওঠার আগেই মায়ের শানত্ম-কোমল বিষণ্ন মুখখানা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিল। দেশবাসী মুক্ত হয়েছে, দেশ শত্রম্নমুক্ত হয়েছে। সবাই বিজয়ের আনন্দে। কিন্তু আব্বার তো খবর নেই। তিনি বেঁচে আছেন তো? কবে, কখন ফিরবেন? তিনি না ফেরা পর্যনত্ম এ আনন্দ অপূর্ণই থেকে যাবে আমাদের জীবনে। কেননা আমাদের জীবনে আব্বার উপস্থিতিই সবচেয়ে বড় আনন্দের। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তজীবনের বড় স্বাদ পেলেও আব্বার দুশ্চিনত্মায় মায়ের সঙ্গী হলাম। আবার আমরা বাসায় পতাকা তুললাম। মা পাকিসত্মানের পতাকাটা পা দিয়ে দুমড়িয়ে ছিঁড়ে ফেললেন। কামাল ভাই ও জামাল ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধার বেশে ফিরে এলেন। শুধু আব্বার জন্য কষ্টটা বেশি করে অনুভব করলাম।
চলিস্নশ বছর পর আজ বিজয় দিবসের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা আমাদের আবেগতাড়িত করে। প্রাপ্তি তো আছেই। দেশ স্বাধীন করেছেন আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা, ভারতের মিত্রবাহিনীর সহায়তায়। বিশ্ব জনমত সব সময় আমাদের সঙ্গে ছিল। আমাদের জনগণের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তি। আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ, সাহসী বীর জাতি, যারা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে চলেছে। মানুষ শত কষ্টের মধ্যে থাকলেও মানুষের হাসিটি বড় মধুর এবং বিজয়ের সেই মুহূর্তকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
আমাদের প্রত্যাশা অনেক বড়। বাংলাদেশ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ও আদর্শ দেশ হয়ে উঠুক। বাঙালী জাতি সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হোক। আমাদের জীবন থেকে সব দুঃখ-কষ্ট, হিংসা-বিদ্বেষ মলিনতা মুছে যাক। শান্তি-সৌহার্দ ও সহমর্মীতায় আমরা যেন একাত্ম হয়ে উঠতে পারি। আমাদের দেশ হয়ে উঠুক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা। আমরা যেন দেশ গঠন, উন্নয়ন ও মানবসেবায় তাঁর আদর্শ অনুসরণ করি। দেশপ্রেমের প্রদীপ আমাদের অন্তরকে উজ্জ্বল মহৎ করে তুলুক।
সুত্র : প্রিয়.কম