স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নিজ জেলায় টায়ারের অভাবে সদর সদর হাসপাতালের দুটি এ্যাম্বুলেন্স এক সপ্তাহ যাবত অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ফলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রুগীদের সদর হাসপাতাল থেকে দেশের অন্যান্য হাসপাতালের নিতে ব্যাপক হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। এ অভিযোগ স্বয়ং ভুক্তভোগীদের।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আলহাজ ডাঃ মারুফ হাসান জানান, হঠাৎ করে একই সঙ্গে সদর হাসাপাতালের দুটি এ্যাম্বুলেন্স টায়ার নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তায় যেয়ে কয়েক বার টায়ার বাস্ট হয়ে যাওয়ায় চালকরা ওই এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আর কোথাও ভাড়ায় যাচ্ছে না। ফলে রুগীদের চিকিৎসার ক্সেত্রে ভোগান্তি বেড়েছে। বেড়েছে ব্যক্তি মালিকানা ও বে-সরকারি এ্যাম্বুলেন্সর ভাড়াও। ফলে রুগী বা রুগীর স্বজনরা বেকায়দায় পড়ে উচ্চ মূল্যে ভাড়া দিয়ে রুগীদের খুলনায় বা ঢাকায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার সদর হাসাপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক মিজানুর রহমান মিজানের সাথে কখা বললে তিনি এ্যাম্বুলেন্স অকেজো হয়ে পড়ে থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, রাস্তায় যেয়ে র“গীদের ভোগান্তি দেওয়ার চেয়ে না যাওয়াই ভাল বলে মনে করি। ফলে এক সপ্তাহ যাবত বাইরের কোন ভাড়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সার্বিক বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ এস জেড আতীক এর সাথে কথা বলার চেষ্টা করে না পেয়ে আরএমও ডাঃ মারুফ হাসান জানান, সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ্যাম্বুলেন্স বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে বলে মনে করি। ভুক্তভোগীরা জানান, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নিজ জেলা সাতক্ষীরায় চিকিৎসা খাতে বেশ উন্নয়ন দেখা গেলেও টায়ারের অভাবে এ্যাম্বুলেন্স বন্ধ হয়ে আছে যা আগে কখনও ঘটেনি। রীতিমত এটা দুঃখজনক হিসেবে উলেখ করে হতাশা ব্যক্ত করেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নাজমুল হক/সাতক্ষীরা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here