পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য কারো সঙ্গে কথা বলতে হলে তাদের দায়িত্ব হচ্ছে, প্রথমে সেই ব্যক্তিকে স্যালুট করে নিজের পরিচয় দেয়া। এরপর বলবে, আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। এরকম মতামত দিয়েছেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনের নাতিকে পুলিশী নির্যাতনের বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া একটি স্বঃপ্রণোদিত রুলের শুনানিতে বৃহস্পতিবার তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে তিনি আদালতের নির্দেশনার কামনা করেন। বিচারক এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চে এই শুনানি হয়। দিনশেষে শুনানি মুলতবি করে সোমবার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। শুনানিতে ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম পুলিশের কাজ তদারকিতে থানায় থানায় মানবাধিকার কমিশনের তত্ত্বাবধায়নে সিসিটিভি স্থাপনের দাবি জানান।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানে পুলিশ তাজউদ্দিন আহমেদের নাতি রাকিব ও তার বন্ধুকে নির্যাতন করে। এ বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলো রোববার ‘তাজউদ্দিনের নাতিকে পেটাল পুলিশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলে ওইদিনই আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম তা আদালতের নজরে এনে উপস্থাপন করেন। ওই সময় দৈতবেঞ্চ স্বঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করার পাশাপাশি পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন।