সাতক্ষীরা: সদর উপজেলায় পুলিশ ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে এক জামায়াতকর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার ভোররাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের আবাদের হাটখোলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম শামসুর রহমান (৩৫)। তিনি শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর রাত ৩টার দিকে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যের একটি যৌথ বাহিনী আসামি ধরতে সদরের আগরদাড়ি মাদ্রাসা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মসজিদে মাইকিং করা হয়। এতে শত শত গ্রামবাসী সড়কে নেমে আসে। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ করে।

এ সময়ও তারা যৌথ বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছোড়ে যৌথ বাহিনী। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শামসুর রহমান নিহত হন। ভোর চারটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে যৌথবাহিনী ফিরে আসে।

সাতক্ষীরা সদর পুলিশের এসআই ইকবাল বাংলামেইলকে জানান, আসামি ধরতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গাফফার জানান, গত ৫ বছরের মধ্যে আগরদাড়িতে এটি পুলিশের সবচেয়ে বড় অভিযান ছিল। পুলিশের গুলিতে নিহত শামসুর রহমান জামায়াতকর্মী বলে তিনি দাবি করেন।

সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির আবদুল খালেক মণ্ডল দাবি করেন, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা শিয়ালডাঙ্গা ও আগরদাড়ি এলাকায় গিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেন।

এ সময় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান। পুলিশের গুলিতে শামসুর রহমান নামের জামায়াতের একজনকর্মী নিহত হন।

গুলিতে শামসুর রহমান নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কোলারোয়া উপজেলায় বেয়ারা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বাবুকে (৩০) পিটিয়ে হত্যা করে অবরোধকারীরা। যুবলীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান বাবু মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে মীর্জাপুর স্কুলমোড়ে পৌঁছলে অবরোধকারীদের রোষানলে পড়েন।

অবরোধের সমর্থনে আসা মিছিল থেকে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা বাবুকে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here