এনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি:: বান্দরবান সদর হাসপাতালে গত ২২দিন ধরেই প্রচন্ড ব্যথায় কাতরাচ্ছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী প্রতিবন্ধী। টমটমের আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে আশ্রয় নেয়া এ নারীর একটি পায়ে পঁচন ধরেছে। অন্য পাটিও ক্ষত-বিক্ষত। পঁচন থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালের মেঝেতে রাখা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রত তাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া না হলে পা কেটে ফেলতে হবে। কিন্তু চমেক হাসপাতালে কে নিয়ে যাবে এই নারী প্রতিবন্ধীকে। হাসপাতাল চিকিৎসকদের বারবার অনুরোধ সত্বেও বান্দরবানের কোন কর্তৃপক্ষই ওই প্রতিবন্ধীকে চমেকে নিয়ে যাবার উদ্যোগ নেয়নি। পায়ে পঁচন বাড়তে থাকায় ওই প্রতিব›ন্ধী নারীর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সমিরন নন্দি জানান, গত ৩মার্চ মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী এ নারীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করান দুই ব্যক্তি। সড়কে টমটমের আঘাতে আহত হয়ে পরে থাকলে এক পুলিশ সদস্য ও অপর একব্যক্তি আহত প্রতিবন্ধী নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রচন্ড আঘাত পাওয়ায় পায়ে পঁচন ধরে ওই প্রতিবন্ধীর। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার নাম ঠিকানা এবং কোন অভিভাবকও পাওয়া যায়নি। পায়ে পঁচনের কারণে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় গত ৫দিন আগে থেকে তাকে হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের নার্সরা।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার জানান, সদর হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা না থাকায় ওই রোগীকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু কোন কর্তৃপক্ষই ওই রোগীকে চমেকে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা নেয়নি। চিকিৎসকরা জানান,পার্বত্য জেলা পরিষদ,পৌরসভা এবং প্রশাসন কর্মকর্তাদের সবাইকেই চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্তÍ ওই রোগী সদর হাসপাতালের মেঝেতে প্রচন্ড ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। দ্রত উন্নত চিকিৎসা করা না হলে তার পা নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ওই রোগীর বিষয়ে তাঁকে কোন মহলই অবহিত করেননি, মিডিয়াকর্মীদের কাছ থেকে জানার পর তিনি রোগীটির বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।