খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দলের প্রভাব বিস্তার করে পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রর্দশন করে পাহাড় কেঁটে রিসোর্ট (হোটেল) নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে খাগড়াছড়ি জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় তারপরও দেখার কেউ নেই।
খাগড়াছড়ি জেলা আ.লীগের এই নেতা দলের নির্বাহী পদে থেকে নিজের দলের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ক্রয়কৃত জায়গায় সরকারী আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে কাটছে পাহাড়। পার্বত্য জেলায় বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন কাজে পাহাড় কাটতে হলে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানছে না এ নেতা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পর্যটন মোর্টেল সংলগ্ন জেলা প্রশাসনের হাতীর কবর নামে পরিচিত ফুলকলির পাশে কৈবল্য পীঠ এলাকায় কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া লোক চক্ষুর আড়াল করতে টিনের বেড়া দিয়ে অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটছে বেশ কিছু দিন ধরে। যা পরিবেশের জন্য হুমকি সরূপ। অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার বিষয়টি ববিবার খাগড়াছড়িতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা মিটিংও উঠে আসে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে পাহাড় কাটার সাথে জড়িত “খাগড়াছড়ি জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া” বলেন, এখানে পাহাড় কাটা হচ্ছে না। একটি রিসোর্ট নির্মাণের জন্য পাহাড়ের আশ-পাশের ভাঙ্গা জায়গা সমান করে আরসিসি ওয়াল করে ৪তলার একটি রিসোর্ট নির্মাণ হবে এ জায়গায়। এত বড় পাহাড় কাটাও সম্ভব নয়। এ সময় তিনি নিজেকে সচেতন মানুষ বলে দাবী করে রিসোর্ট নির্মান ও এ জেলার উন্নয়ন কাজের জন্য স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তা চান।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট জায়গার মালিককে উক্ত জায়গায় পাহাড় কাটা বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করা হলে জায়গার মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।