স্টাফ রিপোর্টার :: পানি দূষণের অন্যতম কারণ বর্জ্য। আর এই বর্জ্য পানি সরাসরি পানির উৎসে মিলে গিয়ে পানি দূষিত হচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর ৯০ শতাংশ বর্জ্য পানি সরাসরি পানির উৎসে গিয়ে মিশে যায়। ফলে পানি দূষণ হয়ে এর গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে।
শুক্রবার ঢাকা পানি সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ।
মূল্য প্রবন্ধে তিনি পানি দুষণের কারণ এবং এর সমাধানে বেশি কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন। এই টেকনিক্যাল সেশনে সভাপতিত্ব করেন পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত। এই সেশনে বিদেশি প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
ঢাকা পানি সম্মেলনের প্রথম দিনের মূল প্রবন্ধে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য সম্মত পয়:নিষ্কাশন, পানি দূষণ হ্রাস, পানির গুনগত মান উন্নয়ন, পানির পরিমিত ব্যবহার ও সুপেয় পানির অভাব দূরীকরণ, সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা, পানির জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা প্রভৃতি বিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিভিন্ন সুপারিশ উঠে এসেছে।
মূল প্রবন্ধে উন্মুক্ত মলত্যাগ বন্ধ করে শতভাগ স্যানিটেশন চালুর সুপারিশ করা হয়। প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বর্জ্য পানি শোধনের হার দক্ষিণ এশিয়ায় ১০ শতাংশ। এই হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করলে পানি দূষণ সহনীয় মাত্রায় ফিরে আসবে। অতিরিক্ত পানি ব্যবহারের কারণে পানি দুষণের মাত্রা বেড়ে যায় বলেও জানানো হয়।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পানি দূষণের বিষয়টি সম্পর্কিত, শিল্প কারখানা, জনবসতি যেখানে বেশি সেখানকার পানি বেশি মাত্রায় দূষিত। পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের চিত্রও একই রকম। এ থেকে পরিত্রাণে সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা করতে হবে, যাতে নিরাপদ খাবার পানি, পানিসম্পদের টেকসই ব্যবহার ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিত হয়।
দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহ এই সম্মেলনে বিষয়গুলোতে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ বের করে আনার বিষয়ে মতামত দেয়।
এরআগে সকালে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা পানি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। রবিবার ঢাকা ঘোষণার মাধ্যমে ‘ঢাকা পানি সম্মেলন-২০১৭’ শেষ হবে।