পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি দেখিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

খোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি  :: শরীয়তপুরে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি দেখিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উছেঠে। ইনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মেম্বার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক ও এলাকাবাসী। যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে চাঁদা আদায়ের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হারুন মাদবর। এক পর্যায়ে বলে, ঠিকাদারের গাড়ী ভাড়া বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে কিছু টাকা উঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নে ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার চরেরকান্দি হিন্দুপাড়ায় পল্লী বিদ্যুত সরবরাহ করা হবে। এ সংবাদে মেম্বার হারুন মাদবর তার বাবা ও ভাইদের সহযোগিতায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নাম করে প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে। কোন গ্রাহক টাকা দিতে অস্বীকার করলে খুঁটি স্থাপণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় মেম্বার হারুন মাদবর।

প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে এলাকাবাসী ভীড় জমায় বিনোদপুর হিন্দু পাড়ায়। সেখান থেকে মেম্বার হারুন মাদবর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে গ্রাহক শাহিনুর বেগম, ফেরদৌস মাদবর, হামিদুর রহমান, ছবরজান বিবি, সেকান্দার মোল্যা, আলমগীর সহ এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় বিদ্যুৎ আসার সংবাদ পেয়ে হারুন মাদবর সকল গ্রাহকদের নিয়ে এক জায়গায় বসে। মিটার প্রতি ২ হাজার টাকা করে ধার্য্য করে। হারুন মাদবর সমস্ত টাকা বুঝে নেয়। যে গ্রাহক টাকা দিতে অস্বীকার করে তাকে বিদ্যুৎ বঞ্চিত করার হুমকি দেয়। এখন হারুন মাদবর আবার ট্রান্সফর্মার কথা বলে গ্রাহকের কাছে টাকা চায়।

যে সকল গ্রাহক প্রতিবেদকের সামনে উপস্থিত হতে পারেনি তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অভিযোগ জানায়। মোবাইল ফোনে গ্রাহক কালাম চোকদার জানায়, তার বাড়ি একটু দূরে হওয়ায় মেম্বার হারুন মাদবর তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় খুঁটি স্থাপন বন্ধ করে দেয় মেম্বার। পরবর্তীতে মেম্বারের বাবা সিকিম আলী মাদবর ঝগড়া করে তার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে।

অভিযুক্ত মেম্বার হারুন মাদবর বলেন, আমি হাত দিয়ে কোন টাকা আদায় করিনি। তবে শুনেছি ইলেকট্টিশিয়ান বাবুল এলাকার লোকের সাথে মিল করে ঠিকাদারকে কিছু টাকা তুলে দিয়েছে। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে তারা আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার করে।

ইলেকট্টিশিয়ান বাবুল বলেন, হারুন মাদবর গ্রাহকের কাছে টাকা চাইতে বলে। আমি তার কথামত কাজ না করায় আমাকে দিয়ে ঘর ওয়ারিং না করানোর জন্য এলাকায় বলে দেয়। হারুন মাদবরের কথা অমান্য করে যারা আমাকে দিয়ে ঘর ওয়ারিং করায় তারাই মিটার পাইছে। অন্যান্যরা আজও ঘর ওয়ারিং করায়নি এবং মিটার পায়নি। হারুন মাদবর তার আপন ভগ্নিপতি কালাম চোকদারের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা আদায় করছে। তা নিয়ে এলাকায় অনেক দরবার হয়েছে। মিটার বাবদ ৪৫০ টাকা অফিসে জমা দিতে হয়। ট্রান্সফর্মার জন্য কোন টাকা লাগে না।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here