আবদুস সাত্তার, নড়াইল

নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে আধিপত্য বিস-ার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওমর আলী  শেখ (৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০জন। নিহতের ঘটনার পর শনিবার দিনভর প্রতিপক্ষের ২৫টি বসতবাড়ি ও ৫টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে। ঘটনাস’লে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৭জনকে আটক করেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস-ার নিয়ে ওই গ্রামের আনিচুর রহমান ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ইমারুল গাজীর নেতৃত্বে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার(১৬ ডিসেম্বর) বিকালে উত্তেজনা শুরুর পর ঢাল, সড়কি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রাদি নিয়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে  লিপ্ত হয়। দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে রাত পর্যন-। সংঘর্ষে গুরুতর আহত আনিচুর রহমান সমর্থিত ওমর আলীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। আহতদের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নিয়ামুল শেখ (৩৫), আলমগীর শেখ (৩২) ও শামীম হোসেনের (৩০) অবস’া গুরুতর বলে জানা গেছে। আহত অন্যান্যদেরকে নড়াইল সদর ও অভয়নগর উপজেলা স্বাস’্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে নিহতের ঘটনার পর চেয়ারম্যান সমর্থিত পুরুষ সদস্যরা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। বিক্ষুব্ধ আনিচুর সমর্থিতরা বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান ইমারুল গাজী, সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান নান্নু, শিক্ষক আলতাফ হোসেন, আলীম, হায়দার, শরিফুল বিশ্বাস, প্রাক্তন মহিলা মেম্বর ফজিলা বেগম, পিকুল মিনা, মান্দার বিশ্বাস, রতন বিশ্বাস, বাচ্চু,  সালাম, হিজাজ, আসাদ, আবুল, শাহাজান, ঠান্ডু, টিপু, খালেক, ইঞ্জিল, মিরাজ, আজিম, হারুন, মুনসুর শেখসহ ২৫ টি বাড়ি এবং মিজান, সালাম, নবির, শহীদুল ও নুরুল গাজীর মির্জাপুর বাজারের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। লুট করা হয়েছে অর্ধশতাধিক গরু, ৪টি মোটরসাইকেল, ঘরে রাখা ফসল,কাপড়চোপড়, আসবাবপত্র, টাকা পয়সা এমনকি থালা বাসন পর্যন-।

নড়াইল সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম নিহতের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, অল্প কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭জনকে আটক করা হয়েছে। পরিসি’তি এখন শান- রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here