মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রাম ফিরিঙ্গা বাজার এলাকায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে তিন ডাকাত নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে গতকাল রোববার পাঁচ-ছয় হাজার অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে একটিও ডাকাতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলাসহ পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামের এনায়েত ব্যাপারী  বাড়ির কর্তা বাদী হয়ে ডাকাতির ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন কবির হাট থানায়। তবে এখন ও আতংক কাটেনি গ্রামবাসীর।

উল্লেখ, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ১২-১৪ জন ডাকাতের একটি দল কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতি করে। ডাকাতি শেষে ভোররাত তিনটার দিকে তারা পার্শ্ববর্তী ফিরিঙ্গা বাজারে ডাকাতি করতে গেলে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বোর্ড অফিস এলাকার লোকজন টের পেয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে ঘিরে  ফেলে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা সাত ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

এতে ঘটনাস্থলে আজাদ (৩৫) ও অপর এক ডাকাত নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর আরো এক ডাকাতসহ তিন ডাকাত মারা যায় ।

ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল আলম পারভেজ জানান, গণপিটুিনতে তিন ডাকাত নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রামবাসীর মনে সস্থি ফিরে এসেছে। তবে এখন ও আতংক কাটেনি।তিনি ও তার পরিষদের লোকজন ডাকাতের  বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার ব্যাপারে স্বোচ্চার। এই ঘটনায় গ্রামবাসীকে কোন ধরনের হয়রানি যেন না করেন সে ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নিহত ডাকাতরা হচ্ছে, কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামের আব্দুল সারেং এর ছেলে মো. আজাদ প্রকাশ ডেয়েংগা আজাদ (৩৮)।

আহত ডাকাতরা হচ্ছে, নোয়াখালীর সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ভাটিরটেক গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আরিফ (২৮), বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের রাজন্দ্রপুর গ্রামের নূর নবীর ছেলে রিপন (২২)। অপর দুই জনের নাম হলো সদর উপজেলার নুরুল আমিন ও ইসমাইল।

ডাকাতের হামলা আহতরা হলেন, ইউপির নবগ্রামের এনায়েত ব্যাপারী বাড়ীর হারুনুর রশিদ (৫০), সাদ্দাম হোসেন (২৫), এনায়েত হোসেন (৬৫), ফজলে রাব্বী (২২) ও তাজ নাহার (৩৫)।

নোয়্‌খালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.ইলিয়াছ শরীফ জানান, কবির হাটে গণপিটুনিতে ডাকাত দলের তিনজন সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ডাকাতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা ও গণপিটুনিতে নিহতে ঘটনায় পাঁচ-ছয় হাজার অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে একটিসহ পুলিশ বাদী হয়ে দুইটি ও বাড়িরকর্তা বাদী হয়ে আরো একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় গ্রামবাসীকে কোন ধরনের হয়রানি করা হবে না।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here