নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে দেশের সাধারণ ও গরীব মানুষের উপকার হয়েছে বলে দাবি করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার গুজরাটের দেশায় একটি জনসভায় উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে গরীবদের ক্ষমতায়ন হয়েছে, এর ফলে সমাজ থেকে কালো রুপি, দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব হবে। মোদির অভিযোগ, ভারত সামনের দিকে অগ্রসর হতে হয়ে চায়। কিন্তু দুর্নীতি ও কালো রুপি সেই অগ্রগতিতে বাধার সৃষ্টি করছে, গরীব মানুষদের ক্ষতি করছে। এই অশুভ শক্তির শেষ হওয়ার দরকার’।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শুধু তাই নয়, ৫০০ এবং ১০০০-এর পুরনো নোট বাতিল করায় সন্ত্রাসবাদী ও নকশালদের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। কারণ ৫০০ এবং ১০০০-এর বড় নোট তারা আর জাল করতে পারছে না। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদীদের শক্তি জোগাত এই জাল নোট, আর আমি এর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছি। আর এখন সেই জাল নোটের রমরমা বন্ধ হওয়ায়, বেকায়দায় পড়ে গেছে সন্ত্রাসবাদীরা। ‘
কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় যখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সুর চড়াচ্ছে, ঠিক তখনই পাল্টা সুর চড়ালেন মোদি। দীর্ঘদিন ধরেই এই ইস্যুতে সংসেদ প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে আসছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি, তাদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এদিন উল্টে প্রধানমন্ত্রীই সংসদ ভুণ্ডুল করার জন্য দায়ী করেছেন বিরোধীদের। গুজরাটের জনসভা থেকে মোদি এদিন বলেন, ‘বিরোধীরাই সংসদে অচলাচবস্থা তৈরি করার চেষ্টা করছে, আমাকেই সংসদে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের তরফে সবসময়ই বলা হচ্ছে যে সংসদে তারা এই বিষয়ে আলোচনা চায় কিন্তু লোকসভায় আমাকে বলার কোন সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না। তাই আমি জনসভাতেই বলছি’। তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন সংসদ ভুণ্ডুল করার জন্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও বিরোধীদের সমালোচনা করেন। ৫০ দিনের মধ্যেই এই সমস্যা সমাধান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ব্যাংক বা এটিএমের লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই, ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে, ব্যাংককে নিজের পকেটে নিয়ে আসুন বলেও মন্তব্য করেন মোদি।
এদিকে, মোদির বক্তব্যের পরই ট্যুইট বার্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, ‘মোদি বাবু ভালোই জানেন যে নোট বাতিল (ডিমানিটাইজেশন) সম্পূর্ণ বেলাইন হয়ে গেছে। ভাষণ দেওয়া ছাড়া এখন তার কাছে সমাধানের কোন পথ নেই’।
