বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এমপি আজ বিকেলে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর নরভিক হাসপাতালে ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের খবর নেন এবং সকল আহতদের উন্নত চিকৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এমপি আজ বিকেলে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর নরভিক হাসপাতালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের দেখতে যান

ডেস্ক নিউজ :: নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার বিএস২১১ ফ্লাইটের ৩৬ বাংলাদেশি আরোহীর মধ্যে ১০ জন জীবিত আছেন। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ।

জীবিতদের মধ্যে ইয়াকুব আলীর চিকিৎসা চলছে নরভিক হাসপাতালে। ওহম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে রেজওয়ানুল হকের। বাকিদের মধ্যে ইমরানা কবীর হাসি, শাহরিন আহমেদ, শেখ রাশেদ রোবায়েত, আলমুন্নাহার এ্যানী, মেহেদী হাসান, সায়্যেদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, কবীর হোসেন ও শাহীন বেপারী চিকিৎসাধীন রয়েছেন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, জীবিতদের মধ্যে কেউ গুরুতর আহত আছেন, কেউ হালকা আঘাত পেয়েছেন।

কামরুল ইসলাম আরও বলেন, জীবিতদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় বহন করবে ইউএস-বাংলা। ক্ষতিগ্রস্তরা ইন্স্যুরেন্স সুবিধা ছাড়াও ক্ষতিপূরণ পাবেন। বর্তমানে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরেই ক্ষতিপূরণের বিষয়টি ঠিক হবে।

সোমবার (১২ মার্চ) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে পার্বত্য শহর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়।

ঢাকা থেকে যাওয়া ৭৮ আসনের উড়োজাহাজটিতে চার ক্রুসহ মোট ৭১ আরোহী ছিলেন। এতে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় নেপাল পুলিশ। এদের মধ্যে পাইলট, কো-পাইলট, কেবিন ক্রুসহ মোট ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here