ষ্টাফ রিপোর্টার :: নির্বাচনের সাথে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোন সম্পর্ক নেই -এমনটাই এখন বলছেন বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কেউ কেউ।
এ প্রেক্ষাপটে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নির্বাচনী লড়াইয়েই দেখছেন বিএনপিকে। তারা বলছেন, সরকার বদলের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি।
নির্বাচনের সাথে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোন সম্পর্ক নেই -এমনটাই এখন বলছেন বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কেউ কেউ। এ প্রেক্ষাপটে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নির্বাচনী লড়াইয়েই দেখছেন বিএনপিকে। তারা বলছেন, সরকার বদলের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি।
দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি হওয়ার পর থেকেই বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। সভা-সমাবেশ থেকে শীর্ষনেতারা বার বার বলছেন, দলীয় চেয়ারপারসনকে ছাড়া কিছুতেই নির্বাচনে যাবে না জাতীয়তাবাদী দল।
ক্রমেই নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও মিলছে না বেগম জিয়ার মুক্তির কোনো আভাস।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী গণতন্ত্রের মার মুক্তি হবে। এবং মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয় আমরা নির্বাচনে যাবো।’
তবে ঠিক একইভাবে ভাবছেন না দলের সব শীর্ষ নেতা। যেমন সংগঠনের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দিলেন ভিন্ন ঈঙ্গিত। নির্বাচনের যাওয়ার শর্তের সঙ্গে বেগম জিয়ার মুক্তির কোনো সম্পর্ক নেই বলে সময় টিভির কাছে মন্তব্য করলেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন , ‘নির্বাচনের সঙ্গে বেগম জিয়ার মুক্তির কোনো শর্ত নেই। ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচনের শর্ত আর বেগম জিয়ার মুক্তির শর্ত এক না।’
বিএনপি’র কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, বাস্তবতা অনুধাবন করে বেগম জিয়ার মুক্তিসহ দলের বৃহত্তর প্রয়োজনেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আইনী লড়াইয়ের পথ এখন নির্বাচনই। জয়অী হলেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।’
তবে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াই নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বলেও জানান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ।