নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়স্টাফ রিপোর্টার :: প্রথম ম্যাচের মতো সবুজ ছিল না উইকেট। ব্যাটসম্যানদের জন্য উইকেটে বিশেষ কোনো ভয় ছিল না। প্রতিপক্ষের সেরা বোলাররা নেই। মাঠ তুলনামূলক ছোট। এ অবস্থায় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের কাছে বড় ইনিংস এবং ম্যাচ জয়ের আশা করা যেত।

সে আশা পূরণ হয়নি। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে তিন ফিফটিতে ভর করে বাংলাদেশ দল ২৫৭ রান তোলে। বোলারদের দারুণ লড়াইয়ের পরও তাই বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটের পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছে।

২৫৮ রানের লক্ষ্যে ভালোমতো শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথমবারের মতো তাদের রাশ টেনে ধরেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি তুলে নেন রনকির উইকেট। এরপর একটি রান আউট ও রুবেলের প্রথম শিকারে বেশ খেলায় ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ।

খানিক পর মুস্তাফিজ আবার তুলে নেন ২৫ রান করা টেলরের উইকেট। ব্রুম ও নিশাম দারুণভাবে এরপর খেলা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। শেষ দিকে এসে রুবেল ও মাশরাফি দুজনকে আউট করলেও ফলাফলে আর পরিবর্তন আসেনি।

এর আগে সতর্ক বাংলাদেশ শুরুটা ভালোই করেছিল। প্রথম ১৫ ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। বিনা উইকেটে চলে এসেছিল ৭২ রান; সৌম্য ফিফটি করে ফেলেছিলেন। এ অবস্থা থেকে রান রেট বাড়িয়ে বড় স্কোরের আশা করাই যেত। কিন্তু পরপর কয়েকটা ‘আত্মহত্যা’ বিপদে ফেলে দেয় বাংলাদেশ দলকে।

দলীয় ৭২ রানে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তামিম; তখন তার রান ২৩। এর ৭ রান পরই ফিরে আসেন সাব্বির রহমান রুম্মন। আগের দিন কোনো রান না করা এ ব্যাটসম্যান গতকাল করেছেন ১ রান।

এরপর মুশফিককে নিয়ে আরেকটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন সৌম্য। মুশফিক উইকেটে গিয়েই চাপটা সরিয়ে দেন ছক্কা ও চার মেরে। সৌম্যর সঙ্গে জুটিটাও কেবল গড়ে উঠছিল। কিন্তু আবারো সৌম্যর আত্মহত্যা। পঞ্চাশকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে না পারার ধারা ধরে রেখেই ফিরলেন ৬৭ বলে ৬১ রানে। ইশ সোধিকে সুইপ করতে গিয়ে বল তুললেন আকাশে।

পরপরই মাত্র ৬ রান করে ফেরেন সাকিব আল হাসান। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিফটি পূরণ করেই মুশফিকও সেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন। শেষ দিকে এসে রিয়াদের সাথে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত চেষ্টা করেছিলেন রান বাড়ানোর। কিন্তু ৫১ রান করে রিয়াদ ও ৪১ রান করে সৈকত ফিরে আসেন।

ফলে শেষ ওভারগুলোতেও রান আসেনি। রান আনতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ বা মাশরাফি বিন মুর্তজারাও। ফলে ছোট এ মাঠে ২৫৭ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।

মোসাদ্দেক যথারীতি খেলছেন দারুণ কিছু শট। পরিস্থিতির দাবি মেটাতে মাহমুদউল্লাহর অর্ধশতক ৫৪ বলে। রান বাড়ানোর চেষ্টায় আউট হয়েছেন এর পরপরই। তবে মোসাদ্দেকের সঙ্গে ৬১ বলে ৬১ রানের জুটিই বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে আড়াইশর কাছে।

নিশামের এক ওভারে তিন চার মেরেছেন মোসাদ্দেক, ৪১ বলে ৪১ করে ফিরেছেন শেষ ওভারে। শেষ ৪ ওভারে রান ওঠেনি সেভাবে।

উইকেট প্রথম ম্যাচের মতো সবুজ ছিল না, বরং ব্যাটিংয়ের জন্য ভালোই বলে মনে হয়েছে। ঘাসের ছোঁয়া কিছু থাকলেও মরা ঘাস। উইকেট বরং একটু মন্থর, বল এসেছে থেমে। টিকে থাকলে রান করা কঠিন নয়। বাংলাদেশের স্বচ্ছন্দে খেলার মতোই উইকেট। ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিও খুব ছিল না। কিন্তু কারো ছিল না ইনিংস লম্বা করার মানসিকতা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here