ঝিনাইদহ :: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ ০৬ মার্চ সকালে কৃষিতে নারী কৃষকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করেছে উন্নয়ন ধারার সহযোগিতায় গড়ে উঠা স্বাধীন কৃষক সংগঠন।
গ্রামীন পর্যায়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরার জন্য স্বাধীন কৃষক সংগঠন ও উন্নয়ন ধারার আয়োজনে ঝিনাইদহ শহরে কৃষক ও কৃষাণীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের সমন্বয়ে শহরের পায়রা চত্বরে মানববন্ধন করে এবং উক্ত দাবী জানান।
মানববন্ধন শেষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি এইচএসএস রোডস্থ উন্নয়ন ধারার প্রধান কার্যালয়ে এসে শেষ হয় এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে।
উক্ত মানববন্ধনে অংশনেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন, স্বাধীন কৃষক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খুরশীদ আলম, সহসভাপতি সোনিয়া আহমেদ সহ অন্যান্য কৃষকনেতা-কর্মী, কৃষাণীবৃন্দ, উন্নয়ন ধারা নির্বাহী পরিচালক শহীদুল ইসলাম, সমন্বয়কারী হায়দার আলী, রাজু আহমেদ, কৃষিবিদ রুবেল আলী, আতিয়ার রহমান, কৃষদাস সাহা, মানবাধিকার সংস্থা ঝিনাইদহ ও ক্যাব এর সভাপতি অধ্যক্ষ মো: আমিনুর রহমান টুকু, ওয়েলফেয়ার এফোর্টসের নির্বাহী পরিচালক শরিফা খাতুন সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। বিশেষত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষিখাতের স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। এই খাতে কর্মরতদের অর্ধেকের বেশি নারী এবং এ সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গৃহস্থালীর সকল কাজের পাশাপাশি গরু-ছাগল-হাস-মুরগী-কবুতর পালন, বসতভিটায় শাক-সব্জি ও ফলমূল উৎপাদন, বীজ সংরক্ষণ, শস্য মাড়াই ও মাড়াই পরবর্তী কার্যক্রম, খাদ্যশস্য প্রক্রিয়াজাতকরণসহ কৃষিপণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিবারের খাবার টেবিল বা বাজারজাতকরণ পর্যন্ত বেশিরভাগ কাজই নারীরা করে থাকেন।
বক্তারা আরো বলৈন, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এসব কাজের বিনিময়ে অর্থলাভ তো দূরের কথা পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত কোথাও নারীর কাজের কোন স্বীকৃতি নেই। কারণ, কৃষক হিসেবে নারীরা আজও স্বীকৃত নয়। তাই রাষ্ট্রীয় নানা উদ্যোগ-আয়োজনে এখনো নারী কৃষকদের যথাযথ মূল্যায়ন নেই। সরকার বা নীতিনির্ধারকরা জাতীয় অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করলেও সেখানে নারী কৃষকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ থাকছে উপেক্ষিত। নারী কৃষকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ফলেই মিলবে ক্ষুধা ও দারিদ্র থেকে নিষ্কৃতি, বইবে সামষ্টিক উন্নয়নের জোয়ার।– প্রেস বিজ্ঞপ্তি