চুমকি

স্টাফ রিপোর্টার :: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে মানসিকতার পরিবর্তন খুবই জরুরী। আর এ মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য পরিবার থেকেই কাজ কারতে হবে। আমরা যদি আমাদের ছেলে সন্তানদেরকে নারীর প্রতি সম্মান দেখাতে শিখাই এবং পুরুষগণ যদি নারীর প্রতি সহিংসতা থেকে বিরত থাকেন তাহলে সমাজ থেকে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি ও চিন্তা ভাবনার পরিবর্তণের জন্য ব্যাপক জনসচেতনতা মূলক প্রচার ও প্রসার ঘটাতে হবে। যাতে করে একটি শিশু ও নারী আর কোন সহিংসতা কিংবা নির্যাতনের শিকার না হয়।

তিনি বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে “নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০” প্রণয়ন বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মাহমুদা শারমিন বেনু এর সভাপতিত্বে এই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আরা এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার খসড়া পাঠ করেন প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আরা বলেন কর্মস্থল ও গণপরিবহনে যৌন হয়রানী নারী ক্ষমতায়নের প্রধান অন্তরায়। কর্মস্থলে যদি নারীরা যৌন নির্যাতনের শিকার হন এবং নিরাপদ পরিবেশ না পান তাহলে নারীর উন্নয়ন চরম ভাবে বাধাগ্রস্থ হবে। এর ফলে নারীরা হতাশাগ্রস্থ এবং কর্মবিমুখ হয়ে পড়বেন। তাছাড়া গণপরিবহনে যৌন নিযাতনের শিকার একজন নারী নিজের আত্মরক্ষা করবেন না সমাজের উন্নয়ন ঘটাবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাহমুদা শারমিন বেনু বলেন কর্মপরিকল্পনাটি যুগোপযোগী করার জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মত বিনিময় করা করা হয়েছে এবং জাতীয় পর্যায়ের সকল স্টেক হোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় করা হবে। কর্মপরিকল্পনাটিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব উঠে এসেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শিশুদের গৃহকর্মে নিয়োজিত না করা; গণপরিবহনের মালিক, ড্রাউভার ও শ্রমিকের আচরণ কেমন হবে তার একটি নীতিমালা তৈরী করা; প্রতিটি গাড়ীতে জিপিএস ট্রেকিং এর সিস্টেম চালু করা; ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে জেলা প্রশাসনের আওতায় মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা; অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারে বয়সসীমা নির্ধারণ করা; বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা; যথাযথ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ঋণ প্রদান করে আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা এবং জেলা তথ্য অফিস নির্যাতন প্রতিরোধমূলক ছবি ও গান প্রদর্শন করা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here